লোক সংস্কৃতির আঙ্গিকে বিকল্পধারার নাট্য উৎসব
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বাংলার লুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতির অনুসন্ধান, সংগ্রহ এবং চর্চার মাধ্যমে নিরলশ কাজ করে চলেছে 'শ্যামলী বিম্ব সংঘ'। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল অঞ্চলে অবস্থিত এই সংস্থা। সংঘের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সম্পাদক অভি ঘড়াই জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদনক্রমে স্থানীয় ও বহিরাগত লোকশিল্পীদের নিয়ে তাদের শিল্পচর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শ্যামলী বিম্ব সংঘ। তাছাড়া, সারা বছর ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনজাগরণ ঘটানো এবং পুরাতন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টার সাথে সাথে সংঘের পক্ষ থেকে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছে নিয়মিত। লোকসংস্কৃতিবিদ গুরুসদয় দত্ত'র আদর্শকে পাথেয় করেই শুরু হয়েছিল পথচলা। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর উদযাপিত হয় লোকসংস্কৃতি উৎসব। এ বছর ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় লোক সংস্কৃতির আঙ্গিকে বিকল্পধারার নাট্য উৎসব।
উৎসবের অঙ্গ হিসেবে ১২- ১৪ ফেব্রুয়ারী হয়েছে নাটকের কর্মশালা। কর্মশালাটিতে প্রশিক্ষক ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা নিশান্ত কুমার লাল। কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন ত্রিপুরা থেকে আগত বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক অভীককুমার দে। ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারী প্রতিদিন প্রথম পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় পর্বে দুটি করে বিকল্পধারার নাটক পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠান মঞ্চে। বিকল্পধারার এই নাট্য উৎসবের শুভ সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সদস্য মলয় ঘোষ।
'শ্যামলী বিম্ব সংঘ'র পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান - ২০২১' প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্যামলী বিম্ব সংঘ 'লোক সম্মান - ২০২১' প্রদান করে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও বাচিক শিল্পী স্বপন সাঁই-কে এবং এলাকার 'নাট্য ব্যক্তিত্ব - ২০২১' প্রদান করা হয় তাপস কুমার চট্টোপাধ্যায়-কে। একই সঙ্গে ১৩ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বেতার দিবসও পালিত হয়। বেতার এবং মানপত্র প্রদান করা হয় বিপদ ভঞ্জ সাহা কে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী।