চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

মাটি উৎসবের উদ্বোধনে কৃষক পরিবারের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী


 

মাটি উৎসবের উদ্বোধনে কৃষক পরিবারের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : বর্ধমানে জেলা কৃষি খামারে মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণে শুরু হলো মাটি উৎসব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরে সপ্তম বর্ষ মাটি উৎসবের উদ্বোধন করেন। এদিন দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু মানুষকে পরিষেবা প্রদান ও বক্তব্য রাখার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে ২ টো ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন উদ্বোধন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া সহ রাজ্য প্রশাসনের কর্তা সুব্রত গুপ্ত, ওঙ্কার সিং মিনা, পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক মহঃ এনাউর রহমান, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি এবং অন্যান্যরা।



মঙ্গলবার মাটি উৎসবে উদ্বোধনী বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি'র কৃষি আইন নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, কেন্দ্র যে ৩টি কৃষি আইন এনেছে তাতে কৃষকরা সবথেকে বেশি বিপদে পড়বে। বিজেপি'র ক্যাপিটালিষ্টদের সুবিধা করে দিতেই এই কৃষি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু বাংলার কৃষকদের তিনি কোনো ক্ষতি হতে দেবেন না। কৃষকদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এদিন সেগুলো সবই তুলে ধরে কৃষক ও কৃষক পরিবারের মন জয়ের চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।




 এছাড়া এদিন রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন আবারও ঘোষণা করেন আগামী জুন মাসের পরও সাধারণ মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই বাংলার সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বারবার দরকার মা মাটি মানুষের সরকার, বারবার দরকার তৃণমূলের সরকার। 

সপ্তম বর্ষ মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্মরণ করিয়ে দেন ২০১২ সালে তিনিই প্রথম এই মাটি উৎসবের সূচনা করেছিলেন। তার ৩ বছর পর ইউনাইটেড নেশন মাটি উৎসবের স্বীকৃতি দিয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কৃষকরা তাঁর কাছে সম্পদ। কৃষকরা তাঁর কাছে গর্বের। কারণ এই কৃষকরাই যে ফসল উৎপাদন করে সেটা খেয়েই আমরা বেঁচে আছি। তাই কৃষকদের পায়ে প্রণাম জানান তিনি। শুধু কৃষকরাই নন, কৃষক পরিবারের মহিলাদেরও এদিন তিনি সম্মান জানান। তিনি বলেন, সমস্ত মহিলারা শুধু হাতা খুন্তি নিয়ে রান্নাই করেন না তাঁরা অনেক কাজও করেন। তিনি চান এই মা বোনদের হাত যেন তাঁর মাথায় থাকে।




এদিন মাটি উৎসবের উদ্বোধন মঞ্চ থেকেই কৃষক বন্ধু সহায়তা প্রকল্পে মৃত কৃষক পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা তুলে দেন তিনি। এছাড়া কয়েকজনের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড এবং পলিগ্রিন হাউসের সুবিধাও তুলে দেন।