চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সুজন চক্রবর্তী'র দাবি একুশে বামপন্থীরাই সরকারে আসবে


 

সুজন চক্রবর্তী'র দাবি একুশে বামপন্থীরাই সরকারে আসবে


সেখ সামসুদ্দিন, মেমারি : "রাজ‍্যে একটা ইতরের দল সরকার চালাচ্ছে, একুশের নির্বাচনে চৌদ্দ তলা থেকে ওদের তাড়াতে হবে"। সিপিআইএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী শনিবার মেমারির জনসভায় বক্তব্যের শুরুতে এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। সিপিআইএম মেমারি ১ পূর্ব ও পশ্চিম লোকাল কমিটি আয়োজিত সভায় সুজনবাবু বলেন, দেশ ও রাজ‍্যে র্কপোরেট স্বার্থে শ্রমিক-কৃষকদের ভাতে মারার চক্রান্তের চলছে। তাই 'তোলাবাজ তৃণমূল নয়, দাঙ্গাবাজ বিজেপি নয়, 'ফেরাতে হাল ধরো লাল'। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই মেমারি নতুন বাসস্ট‍্যান্ডে সিপিআইএমের জনসভা হয়। 




তিনি দাবী করেন ২০২১শে তৃণমূল যাবে ও ২০২৪শে ট্রাম্পের মত বিদায় নেবে মোদীর সরকার। তিনি আরও দাবি করেন জনগণের ৬০ কোটি টাকা ব‍্যয় করে একুশে জুলাই, সাঁইবাড়ি, মরিচঝাঁপি, শ‍্যামল সেন কমিশন সহ ১৩টি কমিশন করা হয়েছে। অথচ একটাও রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হয়নি। তিনি দুটি চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। একটি হল ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের কার কত সম্পদ বেড়েছে, কিভাবে বেড়েছে তার হিসাব দিন। দ্বিতীয় চ‍্যালেঞ্জ হল বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব‍্যানার্জী অসততার প্রতীক, প্রমাণ করুন তিনি সততার প্রতীক। তিনি ঘোষণা করেন একুশে বামপন্থীরা সরকারে আসবে এবং ক্ষমতায় এসে প্রথম কাজ হবে রাজ‍্যে তোলাবাজী বন্ধ করা। দ্বিতীয় মিথ‍্যা মামলা থেকে অব‍্যাহতি দেওয়া, তৃতীয় কাজ তিন মাসের মধ‍্যে পঞ্চায়েত পুরসভাগুলিতে নির্বাচনের সরকার নিয়ে আসা, চতুর্থ কাজ বিদ‍্যুৎ খরচ দুশো ইউনিট পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া, পঞ্চম কাজ সিভিক সহ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ন্যূনতম বেতনক্রম চালু করা এবং ষষ্ঠ কাজ হবে প্রতি বছর চাকরির পরীক্ষা চালু করে নিয়োগ করা। এগুলি নির্বাচনী ইস্তেহার হিসাবে বিবেচ‍্য বলে জানান সুজন চক্রবর্তী।



শনিবারের ওই জনসভায় পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস‍্য অভিজিৎ কোঙারের সভাপতিত্বে সিপিআইএম রাজ‍্য নেতা সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, প্রাক্তন সাংসদ সাইদুল হক, প্রাক্তন বিধায়ক সন্ধ‍্যা ভট্টাচার্য ও মহারানী কোঙার, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর অপর সদস‍্য সনৎ ব‍্যানার্জী প্রমুখ। জনসভায় সিপিআইএম নেতা অমল হালদার কৃষিবিল, মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বামসংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে রাজ‍্যে রেল অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।