চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

অতীত দিনের কুশলি ফুটবলার



অতীত দিনের কুশলি ফুটবলার


🟣 অপূর্ব দাস 

           

 ➡️ বিদেশি দলের বিরুদ্ধে বর্ধমানের হয়ে খেলতে নেমে দর্শকদের প্রশংসা পান এক তরুন ফুটবলার। ১৯৩৭ সালে শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে খেলায় সেই তরুন ফুটবলার ছিলেন রমেশচন্দ্র দাস। তখন থেকেই সেই সময়ের বর্ধমানের নামি ক্লাবে খেলা শুরু হয় তাঁর। ১৯৪০ সালে পিচের ড্রাম ও শাল বল্লা দিয়ে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড ঘেরা হয়। সেই সময় আর এ ইউ সি ছিল নামি ক্লাব। প্রনবেশ্বর সরকার ওরফে টোগো সরকার খেলতেন ওই ক্লাবে। আর এ ইউ সি-র হয়ে খেলেছেন রমেশ দাস। তার পর তিনি ডব্লিউ বি এ সি-র হয়ে মাঠে নেমে ফরোয়ার্ড হিসেবে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তিনি আট বার আই এফ এ শিল্ডে বর্ধমানের হয়ে খেলেছন। সেই সময় ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে খেলে যারা দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন ফাল্গুনী কুমার রায়। তিনি রেল দলের হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে খেলেছেন। বর্ধমানের ফুটবল লিগে টাউন ক্লাবে খেলেছেন ফাল্গুনী রায়। ১৯৬০ সালে রাজ কলেজের ফুটবল টিমে খেলেন তুষার ঘোষ। একই সময় তিনি রাজ কলেজের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। ক্রিকেট এবং ফুটবল, দুটি খেলাতেই দক্ষতা দেখিয়েছেন তুষার ঘোষ। সাব জুনিয়র, জুনিয়র ও সিনিয়র পর্যায়ে বর্ধমান জেলা দলের হয়ে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় তিনি খেলেন। কলকাতা ময়দানের এরিয়ান, খিদিরপুর ক্লাবে খেলেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে তুষার ঘোষ দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে চাকরি পান। তুষার ঘোষ, ফাল্গুনি কুমার রায় , রমেশচন্দ্র দাস এক সময় বর্ধমানের ফুটবল মাঠে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তাঁদের খেলা আমি দেখিনি। আমি বর্ধমান ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড ও টাউন স্কুল মাঠে ফুটবল লিগে যাদের খেলা দেখেছি তাদের মধ্যে অমর্ত্য ঘোষ এর খেলা ভালো লাগতো। আর বি ইউ সি এবং অসীম মেমোরিয়াল ক্লাবে খেলেছেন অমর্ত্য ঘোষ ওরফে চঞ্চল। বল নিয়ে জোরে দৌড়তেন। চঞ্চলের শটগুলোর বেশির ভাগই থাকতো গোল পোস্টের মধ্যে। শ্যামল রায় সেই সময় ফরোয়ার্ডে ভালো খেলতেন। কল্যান স্মৃতি সংঘের ডিফেন্সে খেলতেন প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও তুষার কোলে। এই দু'জনের খেলা ভালো লাগতো। সেই সময় কল্যান স্মৃতি সংঘ, শিবাজি সংঘ, আর এ ইউ সি, অসীম মেমোরিয়াল ক্লাব, জাতীয় সংঘ, আর বি ইউ সি-র হয়ে খেলতো অনেক কুশলি ফুটবলার। তাঁদের খেলা দেখার জন্য মাঠে অনেক দর্শক আসতেন।