রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষ জোট সরকার গড়ার আহ্বান
অতনু হাজরা, জামালপুর : "তোলাবাজ তৃণমূল নয় - দাঙ্গাবাজ বিজেপি নয়", "ফেরাতে হাল - ধরো লাল" এই স্লোগান কে সামনে রেখে রাজ্যে বাম- গণতান্ত্রিক - ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়তে আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ করলো সিপিআইএম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বাম বিধায়ক সমর হাজরা, পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সময় ঘোষ, মহিলা নেত্রী ভারতী ঘোষাল, ব্লক নেতা পরেশ সাঁতরা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সমর ঘোষ তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন কঠিন পরিস্থিতিতে বামপন্থীরা লড়াই চালিয়ে যাবেন কারণ লড়াইয়ের ময়দান থেকে বামপন্থীরা কখনো সরে যায়না।সামনের নির্বাচনে সকল কর্মী সমর্থকদের এক হয়ে থাকার কথা বলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এলাকার বিধায়ক সমর হাজরা বলেন আজকের এই কঠিন সময়ে সকলকে আজকের সভা থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টকে জেতানোর কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে গত ৩৪ বছর বামফ্রন্ট কি কাজ করেছে তার কথা তুলে ধরেন, এপ্রসঙ্গে জামালপুরে হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতু, জামালপুর কলেজের কথা তুলে ধরেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বক্তব্য রাখতে গিয়ে একে একে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি তৃণমূল ও বিজেপির কথা বলতে গিয়ে বলেন আসলে দুটি পার্টির মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে। এগুলি সবই লোকদেখানো। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গেলেই দেখা যাবে। তিনি বলেন কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের আমলে কি সাধারণ মানুষের রোজগার বেড়েছে ? কম বেশি সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই সরকারের আমলে।তাই সর্বস্তরের মানুষদের এক হয়ে লড়াই করার ডাক দেন। তিনি বলেন বিজেপি জাতপাতের ভিত্তিতে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন ভারতবর্ষ হচ্ছে ভারত তীর্থ। কিন্তু বিজেপি তা ভেঙে দিতে চাইছে। জাতপাতের সংকীর্ণ রাজনীতি করছে।' ভারতবর্ষ নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান'। তিনি বলেন এই দুই শক্তিকে পরাস্ত করতে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ একটা জোট করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জোটই ক্ষমতায় আসবে।তাঁরা ক্ষমতায় এলে তিনি জানান একবছরের মধ্যে রাজ্যে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করবেন। বছর বছর এস এস সি হবে, টেট পরীক্ষা হবে। আবার নতুন করে শিল্প স্থাপন হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলে কোনো শিল্প আসবে না বলে তিনি জানান। তাই বিকল্পের জন্য তারাই লড়াই করছেন। আজকের এই সভায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিছিলো চোখে পড়ার মত। যা অবশ্যই সিপিএম নেতৃত্বকে আগামী বিধান সভা নির্বাচনে যথেষ্ট অক্সিজেন যোগাবে।