চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জামালপুরে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বাইক মিছিলে মন্ত্রী মলয় ঘটক



জামালপুরে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বাইক মিছিলে মন্ত্রী মলয় ঘটক




ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : জামালপুরে আজ এক ঐতিহাসিক বাইক মিছিল অনুষ্ঠিত এলাকা পরিক্রমা করে। জামালপুর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এই মিছিল আয়োজিত হয়। সোমবারের এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, জামালপুর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক। এছাড়াও ছিলেন জামালপুর ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তাবারক আলি মন্ডল, যুব তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মন্ডল সহ ডাঃ প্রতাপ রক্ষিত, সেখ সামসুদ্দিন প্রমুখ। সোমবার আজাপুর অঞ্চলের জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে বাইক মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল শুরুর আগে মন্ত্রি মলয় ঘটক আজাপুর এলাকায়। বিপত্তারিণী কালী মন্দিরে পুজো দেন। এই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান এবং জামালপুর ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি ভূতনাথ মালিক। বিপত্তারিণী কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় বাবা ঘটেশ্বর শিব মন্দিরেও পুজো দেন মন্ত্রি মলয় ঘটক। এরপর মন্ত্রী
 হুডখোলা গাড়িতে চড়ে বাইক মিছিলের অগ্রভাগে থাকেন। 




আঝাপুর থেকে জামালপুর বাইক মিছিলের লম্বা লাইন জানান দিচ্ছিল জামালপুরে মেহেমুদ খানের নেতৃত্বই শেষ কথা। মিছিল চলাকালীন এসে উপস্থিত হন যুব তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রাসবিহারী হালদার। কয়েক হাজার বাইকের মিছিলটি জামালপুর ব্লকের জাড়গ্রাম অঞ্চলের মাধবপুর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এখানে মন্ত্রি মলয় ঘটক একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন জামালপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের একজনই নেতা তিনি হলেন মেহেমুদ খান, এই কথা বলে সীলমোহর দিয়ে যান। মন্ত্রি মলয় ঘটক বক্তব্য রাখতে গিয়ে পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সহ কেন্দ্রীয় কালা কৃষি বিলের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন বিজেপি হামদো হামারা দো নীতি নিয়ে চলছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন হামদো হলো নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ আর সামারা দো হল আদানি এবং আম্বানি। মাধবপুরের মাঠ ভর্তি জনতা মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানায়। মন্ত্রি মলয় ঘটক বলেন দীর্ঘ লকডাউন সময়ে বিজেপির কোন নেতা মন্ত্রী কে দেখা যায়নি, করোনার ভয়ে সবাই ঘরে ঢুকে বসে ছিল। অথচ ভয়-ভীতি কে উপেক্ষা করে তৃণমূলের মন্ত্রী, নেতারা সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে কাজ করে বেড়িয়েছেন। অনেকেই করোনায় আক্রান্তও হয়েছিলেন। আর বিজেপি লকডাউন এর সময় ছক কষে গোটা দেশকে বিক্রি করে দেবার ষড়যন্ত্র করেছে। বাংলার মানুষ বিজেপির ছক ধরে ফেলেছে। গোটা রাজ্যের মানুষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বিজেপি নেতারা পরিবর্তন যাত্রায় বেরিয়েছেন। তবে বিজেপি যতই চেষ্টা করুক না কেন, বাংলার মানুষ তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন। এদিনের বাইক মিছিলে যে সমস্ত কর্মী-সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন তাদের সকলকেই মন্ত্রী অভিনন্দন জানান। 
এদিনের সভায় মন্ত্রি মলয় ঘটক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান জামালপুর ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি ভূতনাথ মালিক। 
সভা শেষে মন্ত্রী মেহেমুদ খানের পার্টি অফিসে আসেন। 





এখানে এদিন মন্ত্রী "বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়" কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর মন্ত্রি মলয় ঘটক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান এবং জামালপুর ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি ভূতনাথ মালিক কে সঙ্গে নিয়ে জামালপুরের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মিলিত হন।