চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বিয়ে মিটিয়েই মাঝ রাতে নবদম্পতি ছুটলেন ২৫ কিমি পথ ! কিন্তু কেন ?


 

বিয়ে মিটিয়েই মাঝ রাতে নবদম্পতি ছুটলেন ২৫ কিমি পথ ! কিন্তু কেন ?


সেখ সামসুদ্দিন : কনকনে ঠান্ডায় যখন সবাই প্রায় জবুথবু হয়ে লেপের তলায় সুখ ঘুমের দেশে। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২.৩০ মিনিট। রসুলপুর আম্রপালী তে ছিল কনিক ও সন্তোষের শুভ পরিণয়। সেখানে বেঁচে যায় বিপুল পরিমাণে খাবার। নব দম্পতি খাবার অপচয়ের বিরুদ্ধে। তাই কি করা যায় এত রাতে! ফোন যায় পল্লীমঙ্গল সমিতির এক সদস্যের কাছে। তিনিও দেরি না করে টিম নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন উদ্বৃত্ত খাবার সংগ্রহে। শীতের শুনশান রাতে হিমেল কাঁপুনি ভুলে খাবার নিয়ে টিম পৌঁছায় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে। 




নান, চানা মশালা, ভাত, ডাল, তরকারি, ফ্রায়েড রাইস, মাংস, মিষ্টি সব কিছুই উদ্বৃত্ত। এতটা খাবার বর্ধমান স্টেশন চত্বর ছাড়া বিলি করা অসম্ভব। তাই ২৫ কিমি পথ পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা যখন ২টো ১৫ তখন খাবার বিলি শুরু হয় স্টেশন চত্বরে অভুক্তদের মাঝে। প্রায় ১৮০ জনের খিদে মিটিয়ে স্টেশন চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে টিম পল্লীমঙ্গল ও নবদম্পতি যখন বাড়ি ফিরছে তখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। সময় তখন প্রায় ভোর ৩টে ৫০মিনিট। সবাই যখন ক্লান্ত তখন নবদম্পত্তির তৃপ্তির হাসি জানান দিচ্ছে এক সাফল্যের ইতিহাস। খাবার নষ্ট রোখার লড়াইয়ের জয়ের ইতিহাস।