চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জামালপুরে ব্লক যুব তৃণমূলের ডাকে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের প্রতিবাদ সভায় জনপ্লাবন


 

জামালপুরে ব্লক যুব তৃণমূলের ডাকে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের প্রতিবাদ সভায় জনপ্লাবন


অতনু হাজরা, জামালপুর : কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি বিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো জামালপুর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার জামালপুরের চকদিঘিতে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জামালপুর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। সভাপতিত্ব করেন যুব তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতি ভূতনাথ মালিক। উপস্থিত ছিলেন জামালপুর ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তাবারক আলি মন্ডল, জয়হিন্দ্ বাহিনীর ব্লক সভাপতি সাহাবুদ্দিন মন্ডল, চকদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌর সুন্দর মন্ডল, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেবু হেমব্রম, ব্লক আদিবাসী সেলের নেতা তারেক টুডু, ডাঃ প্রতাপ রক্ষিত, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিপ্রা ওঝা সহ অন্যান্যরা। 



২৩ জানুয়ারি দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে উদ্যেশ্যপ্রনোদিত ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করা হয় এদিনের জনসভা থেকে। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজনৈতিক ভাবে স্লোগান দিয়ে অপমান করা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। 



মেহেমুদ খান কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, লড়াই হবে নির্বাচনে, লড়াই হবে ভোট বাক্সে। মিথ্যা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কোনো লাভ নেই। উল্লেখ্য এই মাঠেই কয়েক দিন বিজেপি সভা করে গেছে। সৌমিত্র খাঁ এসেও মাঠের একাংশ ভরেনি। অথচ কোনো মন্ত্রী বা রাজ্য নেতা ছাড়াই জামালপুর ব্লক যুব তৃণমূলের ডাকে গোটা মাঠ জনপ্লাবনে ভাসলো। মেহেমুদ খান ও ভূতনাথ মালিকরা প্রমান করে দিল জামালপুরে বিজেপি নয়, শেষ কথা বলবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাই। তাইতো এদিনের সভায় বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে ১২০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।



মেহেমুদ খান বলেন, জামালপুরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী, বিধবা ভাতা, সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ, ইমাম ভাতা, পুরোহিত ভাতা সহ নানা প্রকল্পে মানুষ উপকৃত। এমন কোনও পরিবার নেই রাজ্য সরকারের ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা পাননি। তাই তিনি তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার গড়ার আহ্বান জানান।