Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় প্রাণ গেল শিশু কন্যার, অসুস্থ গোটা পরিবার হাসপাতালে


 

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় প্রাণ গেল শিশু কন্যার, অসুস্থ গোটা পরিবার হাসপাতালে


🟣 রাধামাধব মণ্ডল


 ➡️ মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ গেল এক শিশুর। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খটনগর গ্রামের মেটে পাড়ার ঘটনা। গত শুক্রবার দিনের বেলায় বাঁধাকপির তরকারি এবং আলু সেদ্ধ দিয়ে ভাত রান্না করে খেয়েছিল পরিবারটি। পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা সাত জন। চারজন দিনের বেলার বাঁধাকপির তরকারি এবং রাত্রে নতুন করে ভাত আলু সিদ্ধ করে খায়। বাকি তিন জন আত্মীয় বাড়ি গিয়েছিল জানা যায়। পরিবারের বাকি চারজন সেই রান্না খেয়েছিল। জানা যায় পরিবারের প্রহ্লাদ মেটে বয়স ৩০। তার স্ত্রী চন্দনা মেটে বয়স ২৫। দূর্যোধন মেটে বয়স ২৭ এবং প্রহ্লাদ মেটের কন্যা সুকন্যা মেটে বয়স সাড়ে ছয়, এরা সকলে বাড়ির রান্না খায়। সেই সঙ্গে এই চারজনে রাত বারোটা থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাথা ঝিমঝিম, সেই সঙ্গে বমি শুরু হয়ে যায়। গত শনিবার সকাল সাতটা থেকে স্থানীয় ডাক্তার তারক বৈদ্যকে দেখিয়ে চিকিৎসা শুরু করে পরিবারের অসুস্থ সদস্যরা। সেদিনই সুকন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হলে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বননবগ্রাম হাসপাতালে শনিবার রাত সাড়ে আটটায় ভর্তি করানো হয়। বননবগ্রাম হাসপাতাল থেকে পরদিন রবিবারই রাত আটটায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করানো হয়। গত রাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত দশটায় সুকন্যা মেটে মারা যায় বলে পুলিশসুত্রে খবর। বাকি তিন জনের মধ্যে শিশু কন্যার বাবা প্রহ্লাদ মেটে এবং মা চন্দনা মেটে কে সোমবার সকাল দশটার সময় বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থাও সঙ্কট জনক। তবে শেষখবর পাওয়া যায়, সোমবার বিকেল পর্যন্ত দু'জন সুস্থ আছে এবং দূর্যোধন মেটেও সুস্থ আছে। সোমবার বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালের মর্গ থেকে সুকন্যা মেটের পোস্টমর্টেম হয়ে, সোমবার বিকেলে খটনগর গ্রামে ডেডবডি আসে। পরিবার সুত্রে জানা যায়, ওই চারজন ছাড়া পরিবারের বাকি তিনজন সদস্য সেদিন রাতে বাড়িতে ছিল না। আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে গেছিল। এদিন দুপুরে খবর পাওয়া মাত্র, খটনগর গ্রামে শোকের ছায়া নামে। পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে সহ স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।




স্থানীয়সুত্রে খবর খটনগর গ্রামের অসুস্থ হওয়া গোটা পরিবারটি তৃণমূলের সদস্য। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনো সুস্পষ্ট কারণ জানাতে পারেনি প্রশাসন। তবে স্থানীয়সুত্রে জানা যায় খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ব্লক এলাকার স্বাস্থ্য কর্মী শিখা গোস্বামীদের একটি দলও এদিন তদন্ত করতে পরিবারটির কাছে গিয়ে তদন্ত করে আসে।

আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি দুঃখ জনক। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য এমন ঘটেছে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে সব জানা যাবে। পুলিশ দেখছে বিষয়টি।"