চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বড়শুল কিশোর সংঘের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন


 

বড়শুল কিশোর সংঘের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন 



অর্ঘ্য ব্যানার্জী, বড়শুল : পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল কিশোর সংঘের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন শুরু হয়েছে। ক্লাবের ৫০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের গৌরবময় মুহুর্তকে স্মরণীয় করে তুলতে তিন দিন ব্যাপি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত, সহ-সভাপতি অরুণ গোলদার, শক্তিগড় থানার অফিসার ইনচার্জ কুনাল বিশ্বাস, বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌভিক পান, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক তথা গাছ মাস্টার অরূপ চৌধুরী, বড়শুল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুস্মিতা সরেন, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ ন্যায়ভিষেক যশ, বর্ধমান জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মন্ডল, ২০২০ সালের রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী অরিত্র পাল, পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার, বড়শুল কিশোর সংঘের সভাপতি সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পার্থ ঘোষ সহ অন্যান্যরা।




 শুক্রবার সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষ পালনের শুভারম্ভে সকাল ৯ টায় কিশোর সংঘের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করেন সংঘের সভাপতি সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। কেক কেটে প্রতিষ্ঠা দিবসের সূচনার পর ৫০ টি সবুজ ও হলুদ রঙের বেলুন সহ শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পায়রা ওড়ানো হয়। এরপর ব্যান্ড, আদিবাসী নৃত্য, জয়ঢাকের শব্দে বড়শুলের আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গোটা এলাকা পরিক্রমা করে। শোভাযাত্রা শেষে বড়শুল ব্লক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকা রোগীদের ফল বিতরন করা হয়।



 দুপুরে বড়শুল কিশোর সংঘের "কিশোর মঞ্চে" অতিথিদের উপস্থিতিতে "বড়শুল কিশোর গ্রন্থাগার" (গৌতম স্মৃতি ভবন) উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বস্ত্র, তাঁত, প্রানী সম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন দু'জন প্রতিবন্ধীকে সহায়ক সাইকেল, তিনজনকে হুইলচেয়ার, ২০০ জনকে কম্বল, ৬০ জনকে শীতের চাদর, ২৫ জনকে মশারী, ৫০ জন বাচ্চাকে জামা, ২৫ জন মহিলাকে শাড়ি এবং ৫০ জনের হাতে বিছানার চাদর তুলে দেওয়া হয়।