চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দলীয় কোন্দলে বিজেপি'র বর্ধমান সদর জেলা কার্যালয় ভাঙচুর, আটক ৭


 

দলীয় কোন্দলে বিজেপি'র বর্ধমান সদর জেলা কার্যালয় ভাঙচুর, আটক ৭


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বিজেপি'র দলীয় কোন্দলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পূর্ব বর্ধমানের সদর জেলা কার্যালয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় দল রীতিমতো অস্বস্তিতে। দলের ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। জানাগেছে, এদিন বিজেপি'র পূর্ব বর্ধমান জেলা সদর কার্যালয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু ভবনে দলীয় সভা চলাকালীন বাকবিতণ্ডা থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ দলে পুরোনোরা গুরুত্বহীন। তৃণমূল বা অন্য দল থেকে আসা নব্যরাই গুরুত্ব পাচ্ছে। এই ইস্যুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ঘোড়দৌড় চটি সংলগ্ন এলাকা সহ জিটি রোড। খোদ কেন্দ্রীয় নেতা তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপির পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতেই আহত হন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে অফিসের জানলার কাঁচ। তিনটি বাইক। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩টি ছোট হাতি গাড়িতে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করেছে বিজেপির অফিস চত্বর থেকে।




জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির পুরোনো যে সমস্ত কর্মী তাঁরা দলে কোনো গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না বলে জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে বৃহস্পতিবার আউশগ্রাম, শক্তিগর এবং গলসী অঞ্চল থেকে কয়েকশো বিজেপি নেতা -কর্মী পার্টি অফিসে আসেন। অফিসের ভেতরে বৈঠকে ডাকা হয় দেবজ্যোতি সিংহ রায়, পুষ্পজিত সাঁই, রবীন্দ্র গর্গ, লক্ষিকান্ত দাস সহ আরও কয়েকজনকে। এদিন আউশগ্রামের ৫৩ নং জেডপির নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, বৈঠকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হতেই বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর লোকজন তাঁদের মারধর করতে শুরু করেন। এমনকি তাঁদের একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এদিন মারধর করা হয় বিজেপি নেতাদের। নিশিকান্তবাবু জানিয়েছেন, কেন ওই সমস্ত নেতা সন্দীপ নন্দীদের বিরুদ্ধে রাজ্যের কাছে নালিশ জানাচ্ছেন তার কৈফিয়ত দাবী করা হয়। আর তারপরেই তাঁদের ওপর চড়াও হন সন্দীপ নন্দীর অনুগতরা। রীতিমত রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করা হয়। যদিও পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে এই বৈঠক চলাকালীন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ কয়েকজন নেতাকেও মারধর ও হেনস্থা করা হয়। ফলে বিজেপির অফিসের ভেতরেই শুরু হয় ব্যাপক গোলমাল। দলীয় কর্মীদের কয়েকজন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।