চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কেষ্টবাবুর দাওয়াই "ঠেঙ্গিয়ে পগাড় পাড় করুন বিজেপিকে"


 

কেষ্টবাবুর দাওয়াই "ঠেঙ্গিয়ে পগাড় পাড় করুন বিজেপিকে"



🟣  রাধামাধব মণ্ডল


 ➡️  বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগাড় পাড় করার নিদান দিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব স্টাইলে আউশগ্রামের জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল বললেন, "বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগাড় পাড় করে দিন।" সোমবার জনসভাটি হয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুরের গেঁড়াই হাইস্কুল মাঠে। সেই সভা থেকে জনগণের উদ্দেশ্যে কেষ্টবাবু আরও বলেন, "দেবেন তো, বন্ধুরা ? বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগাড় পাড় করে ?" ওদিক থেকে মাঠের জনপ্লাবন ততক্ষণে হুল্লোড় শুরু করে দেয়, গুরু সঙ্গে আছি। এই বলে তিনি আবারও বলতে শুরু করেন, "বন্ধু কয়েকটা কথা বলতে এসেছি। আউশগ্রামের এই মাটিকে প্রণাম জানাই। এই আউশগ্রামের মাটিতেই হবে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ, অভিরামপুরে। তিনি আরও বলেন, মানুষকে চটাবেন না কোনো ভাবেই। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। মানুষের পাশে দাঁড়ান।" এসব বলতে বলতেই আসরের আজান শুরু হয়, গেঁড়াই মসজিদে। তখন কেষ্টদা বলেন, " আসরের আজান শেষ হোক।" তিনি সম্মান জানিয়ে আবার বলতে শুরু করেন," যখন আজান হয় তখন আল্লাকে ডাকি। হিন্দু বাড়িতে সন্ধ্যেবেলায় হরিনাম করা হয়, আমরা হরিকে ডাকি। তিনি সকলকে ভালোবাসেন। 



বাংলার মানুষের জন্য কিছু করেনি নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রতি কোনো মায়া নেই তাঁর। ভারতের চাষিরা আজ কাঁদছে। আজ নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, তিনি চাষিদের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। আমরাও নামবো পথে। অনুব্রত মণ্ডল নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, বছরে তুমি দু'কোটি চাকরি করে দেবে বলেছিলে। তুমি পারোনি। তুমি আবার বলছো, সোনার বাংলা করবো। তুমি পেরেছো সোনার ভারতবর্ষ করতে ? তুমি পেরেছো সোনার গুজরাট করতে ? মাটি যার বাড়ি, তাকে তুমি পারবে না। বীরভূম যার বাড়ি তাকে তুমি পারবে না। তুমি ভারতবর্ষের জন্য কি করেছো, বল ? বলতে পারবে না। একটা রাজ্য দেখাও যেখানে তুমি রূপশ্রী, জয় বাংলা, জয় জুহার, কন্যাশ্রী করেছো। তুমি যখন লকডাউন ঘোষণা করলে, তখন তুমি কি দিলে ? মমতা এখনও রেশন দিচ্ছে। আজ বিশ্ব বলছে কি করে সম্ভব ন'কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া। তোমার ইডি, সিবিআই আছে, ভয় দেখাছো। দেখাও। তৃণমূলে আছি, থাকবো, পালিয়ে যাবো না। তৃণমূলে নেতার কোনো দাম নেই। তৃণমূলে ওরকম দু'একটা নেতা পালালে, তৃণমূলের কোনো ক্ষতি হবে না। মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। অরবিন্দ মেনন সত্যিটাই বলেছেন, ১৯ শে তৃণমূল হাপ। ২১ শে বিজেপি সাফ। বন্ধু, এরকম মুখ্যমন্ত্রী পাওয়া যাবে না। গোটা বিশ্ব বলছে। লালনের বাড়িটা দু'তলা, আমার বাড়িটা দু'তলা। কিন্তু এখনও মমতা টালির চালের নিচে থাকে। ২২০-২৩০ আবার মমতা। আবার উন্নয়ণের জোয়ার বয়ে যাবে। ওআইসি একটি বিজেপির দালাল এসেছে। বিহারে টাকা নিয়ে, শেষ করে এলো। সেই দালালকে একটিও ভোট নয়। মা, বোনেরা মনে রাখবেন, বিজেপির লোকেরা বাড়ি বাড়ি যাবে, বলবেন টাকা নিন, বিজেপিকে ভোট দিন। টাকা নেবেন, কিন্তু ভোটাটা তৃণমূলকে দিন। আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এই জনসভায় সাতটি অঞ্চল থেকে হাজার ত্রিশেক মানুষ সমবেত হয় এদিনের জনসভায়। আর জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি সেখ আব্দুল লালন, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ সহ আরও অন্যান্য নেতৃত্ব।