চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

'রসভরী' রসদ যোগাচ্ছে দুই মেধাবী যুবকের পরিবারে


 

'রসভরী' রসদ যোগাচ্ছে দুই মেধাবী যুবকের পরিবারে


 🟣 কিশোর মাকর



➡️  বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে অধ্যাপক করার। টিন বিক্রি করে ছেলের পড়ার খরচ চালিয়েছেন। নিজের না পারার যন্ত্রনা ছেলেকে দিয়ে মেটাতে চেয়েছিলেন বাবা। এলাকার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা পয়সায় পড়াবে। নেট, স্লেট কোয়ালিফাই করেও চাকরি এখনও অধরা। তার ওপর দীর্ঘ লকডাউন বাবার সংসারে রসদে টান পড়েছে। হাল ছেড়ো না বন্ধু, আরও এক মেধাবী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের হোস্টেলের সামনেই খেজুর গুড় বিক্রি করে দুটি সংসারের রসদ যোগাচ্ছে দুই মেধাবী যুবক।

  সৌরভ অঙ্কে এম এস সি, বি এড। বন্ধু নাজিম উদ্দীন বাংলায় এম এ, বি এড। সঙ্গে নেট স্লেট কোয়ালিফাই। বাবুরবাগে রবীন্দ্র হোস্টেলের সামনে নিজের গ্রাম বাঁকুড়ার খেজুরের গুড় এনে ফুটপাতে বিক্রি করছে। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম গোলাবাড়ি গরীব খেটে খাওয়া মানুষের বাস। নাজিমুদ্দিনের বাবা খেঁজুর গাছে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন। সেই গুড় নিয়ে এসে ফুটপাতে বিক্রি করে দু’পয়সা লাভের মুখ দেখছে দুই যুবক। স্টলের নাম দিয়েছে 'রসভড়ি'। সৌরভ ও নাজিমুদ্দিন জানালেন আমাদের ১ বিঘা জমি। সেচহীন শুষ্কতা। চাষ হয় না। অভাব নিত্যসঙ্গি। এতটাই পিছিয়ে পড়া এলাকা টিউশানি পড়ানোর জায়গা নেই। চাকরির পরীক্ষায় খরচ, সংসারের অভাব মেটাতে এই পথ ধরেছি। চাকরি না পাওয়ার দায় কার ? এ প্রশ্ন কুরে কুরে খাচ্ছে দুই যুবককে।