চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জেলা গ্রন্থাগারে ঢুকে পাঠকদের চক্ষু চড়কগাছ


 

জেলা গ্রন্থাগারে ঢুকে পাঠকদের চক্ষু চড়কগাছ



সেখ সামসুদ্দিন, বর্ধমান : করোনা পরিস্থিতিতে দিন পেরিয়েছে, উঠেছে লকডাউন, স্কুল-কলেজ বাদে খুলেছে প্রায় সবই, এসে গেছে ভ্যাকসিনও। কিন্তু আনলক পেরিয়েও লক খোলেনি গ্রন্থাগারের। সেই নিয়ে নানা তরফে একাধিকবার আবেদন অনুরোধ করে চিঠিও গেছে গ্রন্থাগার বিভাগে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় সে খবর। ২৩ জানুয়ারির পর গ্রন্থাগার খোলার কথা দিয়েছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। কথা রেখেছেন তিনি। আজ ২৫ তারিখ থেকে খুলেছে জেলা ও রাজ্যের সব গ্রন্থাগার। জেলা গ্রন্থাগারে প্রথম দিনেই দেখা মিলল সত্যজিত ঘোষ, প্রণব কোলের মতন পাঠকদের। "আপাতত সপ্তাহে ৩দিন খুলবে গ্রন্থাগার এমনটাই তাদের জানানো হয়েছে। মাস্ক পড়েই লাইব্রেরীতে আসতে হবে। তারা বলেন, "আমাদের খুব উপকার হল গ্রন্থাগার খোলায়" কিন্তু গ্রন্থাগারে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ পাঠকদের। জেলা গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তল জুড়ে দখল করে রয়েছে সারি দিয়ে পাতা খাট, বিছানা, টেবিল। সব দেখে পাঠকদের মনে হয়েছে পুলিশের থাকার ব্যবস্থা। যদিও এদিন সেখানে কোনো পুলিশকর্মীর দেখা মেলেনি। কিন্তু পুলিশের ছেড়ে রাখা পোশাক, খাতা পত্র জানান দিয়েছে তাদের কথা, গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ না খুলতে চাইলেও তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেক পাঠকই। শিবাজী চৌধুরী, সন্দীপ সাঁতরার মতন অনেক পাঠকই জানালেন এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ অতিসত্বর প্রয়োজন। তারা বিষয়টি জেলা শাসকের গোচরে আনবেন। বইয়ের পিঠস্থান পুলিশ ব্যারাক হয়ে যাওয়ার কথা শুনে চমকে উঠছেন অনেক লেখক ও সাহিত্যপ্রেমী মানুষজন।