চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

আর কয়েক ঘণ্টা পরেই মরশুমের বড় উৎসবের সূচনা


 

আর কয়েক ঘণ্টা পরেই মরশুমের বড় উৎসবের সূচনা


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে ২০২০ সাল অভিশপ্ত। কোভিড অতিমারি আবহ পাল্টে দিয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গতি প্রকৃতি। করোনা সংক্রমণের চোখ রাঙানির মাঝেই মানুষ একটু একটু করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে। যার ফলশ্রুতিতেই আয়োজিত হচ্ছে ভারত সংস্কৃতি উৎসব। মরশুমের প্রথম এই উৎসবের আয়োজক হিন্দুস্থান আর্ট অ্যান্ড মিউজিক সোসাইটি। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারত সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন হবে শহর বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত সংস্কৃতি উৎসব এর সূচনা হবে। 

হিন্দুস্থান আর্ট অ্যান্ড মিউজিক সোসাইটির কর্ণধার পন্ডিত প্রসেনজিৎ পোদ্দার জানিয়েছেন, ভারত সংস্কৃতি উৎসব এবছর ১৩ তম বর্ষে। কোভিড আবহে সরকারি বিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে ভারত সংস্কৃতি উৎসব। কলেবর একটু ছোট হলেও আকর্ষণ কোনো অংশে কম হবে না। প্রথিতযশা শিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীতে অংশ নেবেন। শুক্রবার উদ্বোধন সঙ্গীত পরিবেশন করবে পুষ্পেন্দু দেবদাস এর পরিচালনায় সতীশ খাঁ সঙ্গীত একাডেমির শিল্পীরা। উদ্বোধনী নৃত্যানুষ্ঠান করবে সুকন্য আদিত্য সামন্ত'র পরিচালনায় মোহিনী নৃত্য করা কেন্দ্রের শিল্পীরা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন মনিকা ঠাকুর, ঝুমা রায় দাস, শম্পা কোনার। একক নৃত্য পরিবেশন করবেন অমৃতা দাস।




এছাড়াও আজকের উদ্বোধনী মঞ্চে অরুনাভ চক্রবর্ত্তী'র পরিচালনায় নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেবে কালিকৃষ্ণ মিত্র স্মৃতি রক্ষা পরিষদ, রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় এর পরিচালনায় বর্ধমান ভারত করা মঞ্জরী, অঙ্কিতা বসু'র পরিচালনায় মনিমালা নৃত্যালয় ও অঙ্কিতা তা এর পরিচালনায় মেঘদীপ ড্যান্স একাডেমী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকছেন ঋষিগোপাল মন্ডল ও শিল্পী রায়। এবারের ভারত সংস্কৃতি উৎসব বর্ধমানে চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিনই থাকছে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


হিন্দুস্থান আর্ট অ্যান্ড মিউজিক সোসাইটি'র কর্ণধার পন্ডিত প্রসেনজিৎ পোদ্দার আরও জানিয়েছেন, ভারত সংস্কৃতি উৎসবের লভ্যাংশ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যদিও গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে ৩ হাজার ৫০০ জনকে খাদ্য সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি ২০০ জন শিল্পীকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। হিন্দুস্থান আর্ট অ্যান্ড মিউজিক সোসাইটি ভারতীয় সংস্কৃতির মানোন্নয়নের প্রয়াসে সারা বছর কাজ করে। একই সঙ্গে শিল্পীদের সহায়তা ও সেবামূলক কাজেও তাঁরা ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছে।