Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণ এক লাফে সর্বোচ্চ, সাবধানে থাকুন


 

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণ এক লাফে সর্বোচ্চ, সাবধানে থাকুন


জগন্নাথ ভৌমিক, পূর্ব বর্ধমান 


পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণ এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১৪১ জন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সংখ্যা তথ্যের নিরিখে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে এক লাফে শিখরে। সব থেকে সংক্রমণ বেশি বর্ধমান শহরে। ২৪ ঘন্টায় বর্ধমান শহরে পজিটিভ ৭২ জন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও ১৬৬ জনে পৌঁছে গেল। গত ২৪ ঘন্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৪১ জন করোনা আক্রান্ত পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৩৩ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ১০ হাজার ১৩৩ জন। বুধবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫২৪ জনের চিকিৎসা চলছে।

পুজো মরশুমের পর পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছিল। এরপর গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নামে। কিন্তু হঠাৎ করেই সংক্রমণের গ্রাফ একেবারে জেলায় সর্বোচ্চ। মঙ্গলবারও জেলায় করোনা পজিটিভ ছিল ৫৯ জন। হঠাৎ করে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসককর্তা থেকে প্রশাসনিক মহলে। কেউ কেউ বলছেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচির দৌলতেই সংক্রমণ বেড়েছে। বিষয়টা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। তবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ হাটে, বাজারে, চায়ের দোকান কিংবা মুদির দোকানে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ব বিধির কোনো বালাই নেই। এক শ্রেণীর মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। 

 ২৪ ঘন্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪১ জন। তারমধ্যে বর্ধমান পুরসভা এলাকায় ৭২ জন, গুসকরা পুরসভা এলাকায় ১ জন, কাটোয়া পুরসভা এলাকায় ৬ জন, আউসগ্রাম ১ ব্লকে ১ জন, আউসগ্রাম ২ ব্লকে ১জন, ভাতাড়ে ৫ জন, বর্ধমান ১ ব্লকে ১৮ জন, বর্ধমান ২ ব্লকে ৩ জন, গলসি ১ ব্লকে ১ জন, গলসি ২ ব্লকে ২ জন, জামালপুর ব্লকে ১ জন, কাটোয়া ১ ব্লকে ৩ জন, কাটোয়া ২ ব্লকে ৩ জন, কেতুগ্রাম ১ ব্লকে ৫ জন, খন্ডঘোষে ১ জন, মেমারি ১ ব্লকে ২ জন, মঙ্গলকোটে ১ জন, পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ৪ জন এবং রায়না ১ ব্লকে ১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

 সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৪১ জনের মধ্যে ১৩১ জনই উপসর্গহীন। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৩৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫২৪ জনের চিকিৎসা চলছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে সরকারি রিপোর্টে করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন অযথা আতঙ্কিত হবেন না। বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সাবধানে থাকুন।