চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড প্রদান শুরু, চারদিনে উপভোক্তা প্রায় এক লাখ


 

দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড প্রদান শুরু, চারদিনে উপভোক্তা প্রায় এক লাখ


অতনু হাজরা, পূর্ব বর্ধমান : ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। মূলত জনসাধারণের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে এবার থেকে রাজ্যের সকল মানুষ পাবেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা। ইতিমধ্যেই 'দুয়ারে সরকার' এর ক্যাম্পে ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলায়ও স্বাস্থ্য সাথীর নতুন কার্ড উপভোক্তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন বর্ধমান ২ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর হাইস্কুলের দুয়ারে সরকার শিবিরে একটি পরিবারের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি বরুন রায়। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ), এসডিও, ডিপিআরডিও প্রমুখ। পূর্ব বর্ধমান জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শিবিরে আজ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ মানুষের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। জেলা জুড়ে পরিষেবা পরিষেবা পেতে মানুষের উচ্ছ্বাস নজর কেড়েছে।




আজ দুয়ারে সরকার কর্মসূচির চতুর্থ দিনে জামালপুরে জামালপুর ২ নং পঞ্চায়েতে ক্যাম্প হয়। সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। পঞ্চায়েতে এই সুযোগ মেলায় স্বভাবতই মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে খাদ্যসাথী ও স্বাস্থ্যসাথী কাউন্টারে বেশি ভিড় দেখা যায়। আজকে জামালপুরে ২ নং পঞ্চায়েতে ক্যাম্পের কাজ কেমন চলছে তা দেখতে পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান।তিনি সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। সেখানে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মনিকা মুর্মু ও উপ প্রধান উদয় দাস। পরে সেখানে পৌঁছান বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক শুভময় ব্যানার্জী, ডুমা সাহেব কল্যাণ দাস ও ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার। মহকুমা শাসক পঞ্চায়েতে সরকারি সুবিধা নিতে আসা মানুষদের সাথে কথা বলেন ও সমস্যার কথা জানেন। এইভাবে সরকারি পরিষেবা পেয়ে সাধারণ মানুষ খুবই খুশি।