অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তৃণমূলের নাম না করে বার্তা শুভেন্দু'র
অতনু ঘোষ, নন্দীগ্রাম : "নন্দীগ্রামের আন্দোলন কারও একার নয়। বহুদিন ধরে এই কর্মসূচিতে আসি, আসবো। যারা ভোটের আগে আসছে, ভোটের পরেও আসতে হবে।” এভাবেই নাম না করে নন্দীগ্রামের তেখালিতে শহীদ স্মরণের মঞ্চ থেকে এক নিঃশ্বাসে ঝোড়ো বক্তৃতায় কোন নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্ব কে আক্রমণ শানান রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, এটা ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ, নিজের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে চাননা তিনি। তবে কিছুটা ইঙ্গিত রেখে তাঁর মন্তব্য, “এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়, এখানে কিছু বলব না। কোথায় আমার স্বাচ্ছন্দ্য, কোথায় চলার পথে চড়াই-উতরাই, তা রাজনীতির মঞ্চে বলব।”
এদিন আবার নন্দীগ্রামে ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে চলেছে তৃণমূল। নেতৃত্বে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ান। ওই অনুষ্ঠানের মূল বক্তা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, পূর্ণেন্দু বসু। উপস্থিত থাকার কথা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়েছিল। এই আন্দোলন মমতার আন্দোলন।”
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ও ফিরহাদ হাকিমের নন্দীগ্রামের শহীদ স্মরণ সভা ঘিরে যথেষ্ট জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবং বাংলার রাজনীতির পারদ যে উত্তপ্ত তা বোঝাই যাচ্ছে।