কাটোয়ার নন্দীগ্রামে রায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো

চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী # ফুটবলে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়, ফ্রান্স কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান মেসি # মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মান ওআরএসের জনক দিলীপ মহালনবিশকে #সরকারি কর্মচারীদের সুখের দিন শেষ, শ্রম কোড চালু হতে চলেছে সমগ্র ভারতে # পূর্বস্থলি-১ ব্লকের সাতজন জিমনাস্টিক প্রতিযোগীর পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ # একই পরিবারের চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু, শিল্প শহর দুর্গাপুরে ব্যাপক আলোড়ন

কাটোয়ার নন্দীগ্রামে রায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো


 

কাটোয়ার নন্দীগ্রামে রায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো


রাহুল রায়, কাটোয়া : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ২নং ব্লকের শ্রীবাটী অঞ্চলের নন্দীগ্রামের রায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো ৫৩ বছরে পড়লো। পারিবারিক পুজো হলেও এই পুজো উপলক্ষে উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ। এ যেন তাঁদের কাছে দুর্গোৎসব। স্থানীয় বাসিন্দার কাছে শোনা যায়, অনেক বছর আগে নন্দীগ্ৰামে রায় পরিবারে জমিদারি ছিল। তখন বর্ধমান জেলার ধেয়া পরগনার বেশকিছুটা অংশ লাভ করেছিল নন্দীগ্ৰামের রায় পরিবার। ৫৩ বছর আগে রায় পরিবারের রেনুপদ রায়ের স্ত্রী দিনতারিনি দেবী মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পান তাঁকে পুজো করার জন্য। তার পর থেকেই পুজো শুরু করেন তিনি। সেটা ছিল ১৯৬৭ সাল। সেই জমিদারি আজ আর নেই কিন্তু পরিবারের বর্তমান প্রজন্মই চালাচ্ছেন এই পুজো। সেই সময়ের পুজোর নিয়ম কানুন আজও পরম্পরায় ধরে রেখেছেন এই রায় পরিবার। কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি বলে জানালেন, রায় পরিবারের সদস্য গৌতম রায়, বাপী রায় ও খোকন রায়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো একদিনেই করা হয়। পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হলো কুমারী পুজো। দশমীতে রায় পরিবারের মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। মায়ের পুজো উপলক্ষ্যে খাওয়ানো হয় মায়ের পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে অন্নভোগ। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা আবহে পুজো, তাই মানতে হচ্ছে সরকারি নিয়ম ও করোনা বিধি। সেই কারণেই পুজো উপলক্ষ্যে রায় পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের মায়ের ভোগ খাওয়ানো বন্ধ রাখা হয়েছে। এই রায় পরিবারের পুজো মনে করিয়ে দেয় বাংলার, বাঙালির ঐতিহ্য। সময় পাল্টালেও নিয়ম নীতি মেনেই এখনো এই পুজো করার মধ্য দিয়ে এই পরিবার তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন। গ্রামের মানুষজনও এই পুজো কে কেন্দ্র করে ক'দিন উৎসব পালন করেন।


Post a Comment

0 Comments