চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জামিন নিলেন বর্ধমান আদালতে


 

বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জামিন নিলেন বর্ধমান আদালতে


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পুলিসের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার জামিন নিতে আসেন বর্ধমান আদালতে। উল্লেখ্য গত ১২ নভেম্বর দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় আদালত। মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। 

বিগত বছরের ৪ নভেম্বর রায়না থানার সেহারাবাজারে সি কে ইনস্টিটিউশন মাঠে বিজেপির সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রেখে দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁবেদারি না করলে পুলিসের চাকরি মেলেনা। টাকা না দিলে পুলিসের চাকরি মেলেনা। প্রমোশনের জন্যও টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি পর্যন্ত সবাইকে টাকা তুলতে হয়। সেই টাকার বাণ্ডিল কালীঘাট পর্যন্ত যায়। এ ধরণের আরও কিছু মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনার বিষয়ে সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিস কর্মী অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, এ ধরণের মন্তব্যের ফলে পুলিসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কটুক্তি ও নোংরা ভাষা প্রয়োগের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিসের সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর মানুষ পুলিস সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪ ও ৫০৫(১) ধারায় মামলা রুজু হয়। তদন্ত সম্পূর্ণ করে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট পেশ করেন সেহারাবাজার ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ উত্তাল সামন্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম। 



আইনজীবী কমল দত্ত বলেন এদিন বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দু'হাজার টাকার বণ্ডে জামিন নিয়েছেন। তবে আর তাঁকে বর্ধমান আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। বারাসতের স্পেশাল কোর্টে হাজিরা দেবেন।

বর্ধমান আদালতে জামিন নেওয়ার আগে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বাইল র‍্যালি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বাইক র‍্যালি হয় উল্লাসমোড় থেকে বিজেপির পার্টি অফিস পর্যন্ত। কার্জনগেট চত্বরে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়।দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যাওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের কার্জনগেট চত্বরে পুলিশ আটকে দেয়।



 এদিন বর্ধমানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মালদায় বিস্ফোরণ নিয়ে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ গোটা রাজ্যে বোম আর অস্ত্রের কারখানা তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এনআইএ তদন্তের দাবী করেন।

অন্যদিকে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় গ্রীণ ট্রাইবুনালের রায় সুপ্রিমকোর্ট বয়াল রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন পুজো, উৎসব হবে, তবে পরিবেশকেও ঠিক রাখতে হবে। তার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।