জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীন নেতা আভাষ ভট্টাচার্য প্রয়াত
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : জাতীয় কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি অবিভক্ত বর্ধমান জেলা ও পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ ১০ বছর দলের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। আভাষবাবু কংগ্রেসী রাজনীতিতে একজন মৃদুভাষী ও সজ্জনব্যক্তিত্ব। গত রাত দুটো কুড়ি মিনিটে বর্ধমানের একটি নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, পুত্র সম্রাট, কন্যা, পুত্রবধূ, জামাতা এবং নাতি-নাতনি সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ মানুষজন।
বুধবার সকাল ১০ টায় আভাষ ভট্টাচার্য'র মরদেহ জেলা কংগ্রেস ভবনে আনা হয। জেলা কংগ্রেস নেতা কাশী নাথ গাঙ্গুলি দলীয় পতাকা ও মালা দেন মরদেহের উপর। কংগ্রেস কর্মী ও অনুরাগীরা এবং বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর গাঙ্গুলি, যুব সভাপতি গৌরব সমাদ্দার, সহ বুলবুল আহমেদ, গনেশ দাস, বাবলু দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা কংগ্রেস নেতা কাশী নাথ গাঙ্গুলি জানান, আভাষ ভট্টাচার্য'র প্রয়াণের খবর পাওয়া মাত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও প্রদীপ ভট্টাচার্য গভীর শোক প্রকাশ করে বার্তা পাঠান। কাশীনাথ গাঙ্গুলি জানান আভাসদা আমাদের অভিভাবক ছিলেন। ওনার মৃত্যুতে জেলা কংগ্রেস এর খুবই ক্ষতি হল।
এদিন আভাষবাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে কংগ্রেস ভবনের সামনে আসেন তৃনমূল কংগ্রেসের বর্ধমান শহর সভাপতি অরূপ দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, প্রাক্তন উপ পৌরপাতি খন্দেকার শহীদুল্লাহ, জেলা বিজেপি নেতা শ্যামল রায় সহ অনেকে।
জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে আভাষ ভট্টাচার্য'র মরদেহ খোসবাগান জাতীয় সংঘের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেও বহু মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর মরদেহ বর্ধমানের নির্মলঝিল শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।