Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

পুজোর বাদ্যিই কাটাল ঢাকিদের লকডাউনের বিষাদ


 

পুজোর বাদ্যিই কাটাল ঢাকিদের লকডাউনের বিষাদ


প্রিয়ব্রত সাহা,কাঁকসা, ৩০ অক্টোবর 


 করোনা মহামারির মারণ ঢেউ এ যখন গোটা দেশ বিধ্বস্ত। অর্থনীতি যখন ভেঙ্গে পড়ছে লকডাউনের জেরে, তখন গ্রাম বাঙলার প্রত্যন্ত ঢাকি বা লোকশিল্পীদের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। সেই পরিস্থিতিতেও তারা আশায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে একদিন আবার সব ঠিক হবে। কাঁকসা অঞ্চলে যে সমস্ত ঢাকিরা এখনও ঢাককে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মঙ্গল দাস, দুধকুমার দাস বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজিয়ে আসছেন। লকডাউনে তাদের আর্থিক অবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিল। পুজোর বায়না আসতেই তারা আশার আলো দেখেছিলেন। পুজোর কটা দিন ঢাকের বাদ্যিই লকডাউনের বিষাদ কাটাল । তাদের জীবনে অভাব ছিল, এখনও আছে কিন্তু এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতি তারা আগে কখনো দেখেননি। এবছর অন্যান্য পুজো গুলোয় কোনো বায়না পাননি তারা। তবে দূর্গা পুজো আসতেই পরিস্থিতি বদল ঘটে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বায়না কম হলেও তারা খুব খুশি সামান্যতেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দুঃস্থ শিল্পীদের মাসিক ভাতা দেন তারা তাতে খুবই উপকৃত হচ্ছেন। দুধকুমার দাস বলেন, 'কষ্ট হলেও আমরা ঢাককে আঁকড়ে ধরেই বাঁচব। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও শেখাব এ বাজনা। '

মঙ্গল দাস এই এলাকার নাম করা ঢাকী । এলাহবাদ, আন্দামান সহ অনেক জায়গায় ঢাক বাজিয়ে এসেছেন । বয়স পঞ্চাশোর্দ্ধ। আজও আরতি কিংবা বিসর্জনে তার বাজনা মানুষকে মুগ্ধ করে। তিনি আমাদের জানান, 'বাবা দাদুদের রীতিকে কষ্ট করে ধরে রেখেছি। আমাদের কষ্ট আছে জীবনে, তবুও পুজোর কটা দিন ঢাক কাঁধে বাজাতে পারলে আমরা খুশি হই। ' পুজো শেষ ঘরে ফেরার পালা, কিন্তু আবার শোনা যাবে এই শব্দ, সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি । তাদের জীবনও আলোকিত হোক । থাকুক তারা আঁকড়ে ধরে....... বজায় থাকুক পরম্পরা।