Scrooling

আর জি কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, প্রতিবাদ সর্বস্তরে # প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য # হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

পুজোর বাদ্যিই কাটাল ঢাকিদের লকডাউনের বিষাদ


 

পুজোর বাদ্যিই কাটাল ঢাকিদের লকডাউনের বিষাদ


প্রিয়ব্রত সাহা,কাঁকসা, ৩০ অক্টোবর 


 করোনা মহামারির মারণ ঢেউ এ যখন গোটা দেশ বিধ্বস্ত। অর্থনীতি যখন ভেঙ্গে পড়ছে লকডাউনের জেরে, তখন গ্রাম বাঙলার প্রত্যন্ত ঢাকি বা লোকশিল্পীদের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। সেই পরিস্থিতিতেও তারা আশায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে একদিন আবার সব ঠিক হবে। কাঁকসা অঞ্চলে যে সমস্ত ঢাকিরা এখনও ঢাককে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মঙ্গল দাস, দুধকুমার দাস বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজিয়ে আসছেন। লকডাউনে তাদের আর্থিক অবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিল। পুজোর বায়না আসতেই তারা আশার আলো দেখেছিলেন। পুজোর কটা দিন ঢাকের বাদ্যিই লকডাউনের বিষাদ কাটাল । তাদের জীবনে অভাব ছিল, এখনও আছে কিন্তু এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতি তারা আগে কখনো দেখেননি। এবছর অন্যান্য পুজো গুলোয় কোনো বায়না পাননি তারা। তবে দূর্গা পুজো আসতেই পরিস্থিতি বদল ঘটে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বায়না কম হলেও তারা খুব খুশি সামান্যতেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দুঃস্থ শিল্পীদের মাসিক ভাতা দেন তারা তাতে খুবই উপকৃত হচ্ছেন। দুধকুমার দাস বলেন, 'কষ্ট হলেও আমরা ঢাককে আঁকড়ে ধরেই বাঁচব। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও শেখাব এ বাজনা। '

মঙ্গল দাস এই এলাকার নাম করা ঢাকী । এলাহবাদ, আন্দামান সহ অনেক জায়গায় ঢাক বাজিয়ে এসেছেন । বয়স পঞ্চাশোর্দ্ধ। আজও আরতি কিংবা বিসর্জনে তার বাজনা মানুষকে মুগ্ধ করে। তিনি আমাদের জানান, 'বাবা দাদুদের রীতিকে কষ্ট করে ধরে রেখেছি। আমাদের কষ্ট আছে জীবনে, তবুও পুজোর কটা দিন ঢাক কাঁধে বাজাতে পারলে আমরা খুশি হই। ' পুজো শেষ ঘরে ফেরার পালা, কিন্তু আবার শোনা যাবে এই শব্দ, সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি । তাদের জীবনও আলোকিত হোক । থাকুক তারা আঁকড়ে ধরে....... বজায় থাকুক পরম্পরা।