Scrooling

ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশঃ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে


 

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশঃ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্রমশঃ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। শহর বর্ধমানে রশিকপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় দু'পক্ষই ফুঁসছে। বোমাবাজির ঘটনায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত গলসি। বোনাসের ঝামেলায় শ্রমিক সংগঠনের রাস কার হাতে থাকবে এই নিয়ে চাপা দ্বন্দ্ব ছিল। যার জেরেই চলে বোমাবাজি। গলসি ১ নম্বর ব্লকের সিংপুর গ্রামের ঘটনা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী, মিলের মালিকদের সাথে শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে ঝামেলা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ একটি রাইস ব্রান তেল মিলের শ্রমিকদের বোনাসকে কেন্দ্র করে ওই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গলসি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর গোটা গ্রাম পুরুষ মানুষ শূন্য। গ্রামের অবস্থা পুরোপুরি থমথমে, চলছে পুলিশী তল্লাশী।

স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, গ্রামের অদূরে ভাসাপুল মোড়ে রাধেশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রাইস ব্রান অয়েল মিল আছে। এই মিলে সিংপুর গ্রামের শতাধিক মানুষ শ্রমিকে কাজ করেন। মিলের শ্রমিকদের পুজোর বোনাসকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে একজনকে মারধর করা হয়। ঘটনার পর গতকালই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। সেই সময় শ্রমিকরা বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়ায়। এরপর আজ সকালে আচমকা গ্রামের তৃণমূল নেতা হাসু মন্ডল ও বকুল সেখের গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামে বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় নেতা বকুল সেখ বলেন, পুজোর বোনাস নিয়ে জেলা আইএনটিটিইউসি এর সহযোগিতায় শ্রমিকদের সাথে মিল মালিককের বৈঠক চলছিল। সেটা মিটমাট হয়ে গিয়েছিল। হাসু সেখ হঠাৎ করে সেই বৈঠক বানচাল করে ঝামেলা সৃষ্টি করে। হাসু সব সময় মিল কতৃপক্ষ ও সর্দার মনোজ যাদবের তাবেদাবী করে বলে অভিযোগ বকুলের। যাতে শ্রমিকরা নিজেদের ন্যার্য অধিকার থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছে। এমনটাই দাবী করেন বকুল সেখ। তিনি বলেন, রাতে বৈঠক চলার সময় মিলের দুটি শ্রমিককে মারধোর করে হাসুর লোকজন। তারপর তারাই সকালে গ্রামে গিয়ে বোমাবাজি করেছে। তবে সেখ হাসু জানান, ওই মিলে তিনি মুন্সীর কাজ করেন। ঝামেলা সব কিছু ওরা করছে। গতকাল বৈঠক চলাকালীন তাদের তিনজনকে মিলের ভিতরে মারধোর করেছে বকুলের লোকেরা। তাকেও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি চান মিলের শ্রমিকরা সঠিক বোনাস পাক। এদিকে তিনি অসুস্থ থাকায় সকালে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। গ্রামে কে বা কারা বোমাবাজি করেছে তা তার জানা নেই। ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কিছু নেই। ওই মিলে বিভিন্ন দলের কর্মীরা শ্রমিকের কাজ করেন। বোনাস প্রদান নিয়ে মিলের শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন করছেন মিল কতৃপক্ষ ও সর্দার। সেটাতে দু তিনজন মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধ করতে মালিক পক্ষের হয়ে কথা বলছে।  

 ব্লকের যুব সভাপতি পার্থ সারথি মন্ডল বলেন, শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে মিল কতৃপক্ষের সাথে শ্রমিকদের ঝামেলা। এই ঘটনায় অযাচিতভাবে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। এটা তৃণমূলে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নয়। কিছু লোক ওখানে অশান্তি করার চেষ্টা করছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।