চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

করোনা সচেতনতায় দীর্ঘদিনের অনুষ্ঠানসূচী বদল অযোধ্যার দে বাড়ির দুর্গা পুজোয়


 

করোনা সচেতনতায় দীর্ঘদিনের অনুষ্ঠানসূচী বদল অযোধ্যার দে বাড়ির দুর্গা পুজোয় 


প্রিয়ব্রত সাহা, কাঁকসা ২২ অক্টোবর : পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা'র অযোধ্যা বনকাটী এলাকার দে বাড়ির পুজোর দীর্ঘদিনের অনুষ্ঠান সূচী বদল করোনা সচেতনতায়। অযোধ্যা গ্রামে পুরোনো পুজো গুলির একটি দে বাড়ির দূর্গাপুজো। ষষ্টী থেকে ত্রয়োদশী পর্যন্ত থাকে উৎসবের আমেজ। কিন্তু এবছরটা যেন একটু অন্যরকম। করোনার করাল থাবার ঢেউ এই গ্রামেও এসেছিল। আর সেই করাল থাবা থেকে বাঁচতে ও সকলের মঙ্গলকামনায় দীর্ঘদিনের পুজোর অনুষ্ঠান সূচীতে বদল এনেছেন দে বাড়ির সদস্যরা। এই পুজোর বয়স প্রায় ৯০ বছর। দে বাড়ির সদস্যা কামিনীবালা দাসী তার পিতার হাত ধরেই শুরু হয় পুজো। মাঝে কিছু বছর কোনো কারণে পুজো বন্ধ থাকলেও পুনরায় এই পুজো শুরু হয়, সেই থেকে আজও চলে আসছে সমারোহে পুজো। আটটা দিন পরিবারের সকলে মিলিত হন, চলে খাওয়া দাওয়া অনুষ্ঠান। এবছর তারা পুজো করবেন পুরোনো আচার রীতি নীতি মেনেই। তবে দ্বাদশীর দিন যে মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবার লোকসমাগম এড়াতে তা বন্ধ করা হয়েছে। আর ত্রয়োদশীর দিন বিসর্জনে যে বিরাট শোভাযাত্রা হয় সেটাও তারা এই বছরের জন্য বন্ধ রেখেছেন। এই বাড়ির প্রবীণ সদস্যা আমাদের জানান, 'আমরা চাইছি মায়ের পুজো হোক তবে করোনার কারণে মহোৎসব ও বিসর্জন বন্ধ করছি। পরিস্থিতি সব ঠিক হলে পরের বছর আবার হবে। 'তরুণ প্রজন্মের সদস্য বিশ্বজিৎ দে, রাজেন দে জানান, 'মহামান্য হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা আমরা পালন করব। পরিবারের সকলেই মাস্ক পড়বো ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করবো। দর্শনার্থী যারা আসবেন তাদেরও মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে অনুরোধ করবো। '