চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে জামালপুরের সাহাপুরে বিরাট জনসভা




তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে জামালপুরের সাহাপুরে বিরাট জনসভা


অতনু হাজরা, জামালপুর : দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে জামালপুরে মেহেমুদ খানের নেতৃত্বে গর্জে উঠলো তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার জামালপুর ব্লকের সাহাপুরে বিরাট জনসভায় বক্তারা বিজেপি'র বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করেন।  বিজেপি'র  ঘৃন্য রাজনীতির সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সাহাপুরে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ সেদিনের সেই সভার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জৌগ্রামের তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে এই সাহাপুরেই একই মঞ্চে প্রতিবাদ সভা করে  জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও ব্লকের যুব সভাপতি তথা পূর্ত্ত কর্মাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক এর নেতৃত্বে জনসভা হয়। আজকের এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন  বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সাংসদ সুনীল মন্ডল, তৃণমূল কংগ্রেসের রায়না ১ ব্লক যুব সভাপতি জুলফিকার খান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। জামালপুর ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলের বিভিন্ন প্রধান, উপ প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবারের এই প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে সাহাপুরে জনজোয়ার দেখা যায়। সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 



সাংসদ সুনীল মন্ডল বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শুধুই ভুলভাল বলেন তাই ওনার কথার গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো।বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন ওরা রাজ্যে ক্ষমতা দখলের দিবা স্বপ্ন দেখছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাক্ষী হয়ে জনগণ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করবেন। আর সে ভরসা তৃণমূলের আছে। মেহেমুদ খান বলেন যে সমস্ত ব্লকের নেতৃত্ব গোপনে বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছে দল তাদেরই দায়িত্ব দিচ্ছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু তিনি এর সঙ্গে আরও বলেন বিজেপি যতই চেষ্টা করুক জামালপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীই বিপুল ভোটে জিতবেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। বিজেপি তথা তাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাথে সামনা সামনি লড়াই করতে প্রস্তুত তারা। লড়াই হবে রাজনৈতিক।



এদিনের জনসভায় বিজেপি নেতা বসন্ত পাজাঁ,অশোক পাত্র, দেবাশিস মিত্র প্রমুখর নেতৃত্ব ৫-৬টি গ্রামের পুরুষ মহিলারা সহ প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ সুনীল মন্ডল