Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

শিক্ষক দিবসে জাপানী পদ্ধতিতে স্কুলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি



 

শিক্ষক দিবসে জাপানী পদ্ধতিতে স্কুলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি


সেখ সামসুদ্দিন : আজ জাতীয় শিক্ষক দিবস । একজন মানুষের সফলতার জন্য শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন আদর্শ শিক্ষক কেবলমাত্র পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, তিনি ছাত্রকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেবেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেবেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেবেন। তিনি তাকে শুধুমাত্র জীবনে সফল হওয়া নয়, কিভাবে একজন ভাল মানুষ হতে হয় শেখাবেন। আর তা একের পর এক করে দেখাচ্ছে মেমারির ক্রিস্টাল মডেল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, প্রিন্সিপ্যাল অরুন কান্তি নন্দী জঙ্গলের দিকে তাক করে গুলতি দিয়ে কি যেন শিকার করছেন ! কৌতুহল নিবারণ করতে গিয়ে জানতে পারলাম শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক অভিনব কর্মসূচির অঙ্গ এটা। করোনা আবহে স্কুল ছাত্র ছাত্রী শূন্য । অন্যান্য বছরের মতো পরিস্থিতি এবার নয়। প্রতি বছরের মতো অনেক কিছুই এখন সম্ভব হচ্ছে না। যেমন ৫ই জুন সেই ভাবে সম্ভব হয়নি বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি। তাই আমরা আজকের দিনটি কে বেছে নিয়েছি। প্রকৃতি আমাদের জানান দিচ্ছে আগামী দিনে জঙ্গল সৃষ্টি করতে না পারলে আমাদের অস্তিত্বের সংকটে পড়তে হবে। তাই আমরা জাপানের কৃষিবিদ, কৃষক, লেখক মাসানবু ফুকুওকার দেখানো সিড বল পদ্ধতি অবলম্বন করে জঙ্গল সৃষ্টি করা যায় তা ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীদের সীড বল তৈরি ও কিভাবে ব্যবহার করে জঙ্গল সৃষ্টি করা যাবে তা শিক্ষিয়েছি।

   




এই ‘সীড বল’ ঠিক কি?

সাধারণ মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে ছোট ছোট মাটির দলাতে দু-তিনটি বীজ রেখে ছাত্র-ছাত্রীরা তৈরি করেছে এই বল। সোনাঝুরি, নিম, তেঁতুল, বেল, খেজুর, জাম বীজ রাখা হচ্ছে এই সীড বলে। এই বলই পতিত জমি, রাস্তার ধারে খেলার ছলে ছুঁড়ে বা গুলতির সাহায্য অনেক দূরে ছড়িয়ে দেবে, তারপর সেই মাটির দলা জমিতে থেকে আর্দ্রতা সংগ্রহ করে তৈরি হবে এক একটি গাছ যা দিয়ে তৈরি হবে জঙ্গল। বৃক্ষ জগতের এই বিষয়কে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে 'অ্যাসোসিয়েটেড সাকশেসন' । তবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে বর্ষার মরসুমে সামাজিক বন সৃষ্টির কোনও মিল নেই। করোনা আবহে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ এলাকায় খেলার ছলে এই ভাবে বনসৃজন করবে। 



অবশেষে কৌতুহল নিবারণ  হলো উনি গুলতি দিয়ে পাখি শিকার নয়, আগামী দিনে আমরা যাতে প্রকৃতির ভয়াল রোষের শিকার না হই তার আনুষ্ঠানিক সুচনা করলেন গুলতি সাহায্যে সীড বল ছোঁড়ার মধ্যে দিয়ে। যা সত্যই আজকের জাতীয় শিক্ষক দিবসে পরম প্রাপ্তি।