চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

খুনের দায়ে দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ


 

খুনের দায়ে দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ


অতনু হাজরা, জামালপুর : খুনের দায়ে বিহারের বক্সার জেলার নিউনাপন থানার বাসিন্দা রাজকিশোর রায় ও ছাবির রায় কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালো বর্ধমান ফার্স্টট্রাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক দৃপ্ত ঘোষ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এই সাজা শোনানো হয়। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের জেল।এই মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন শিবরাম ঘোষাল।

  জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর। আয়রন লোডেড একটি ট্রাক দুর্গাপুর থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকে দুইভাই ছিল ড্রাইভার ও খালাসি হিসাবে। পিন্টু ও বিশ্বকর্মা। পথে তিন জন অচেনা লোক তাদের কাছে কলকাতা যাবার জন্য সম্ভবত লিফ্ট চান।মোট ৫ জন তারা হাইওয়ে দিয়ে যায়। পথে মসাগ্রামে সেই অচেনা লোকগুলি রাতের খাবার খাওয়ার জন্য তাদের দাঁড়াতে বলে। সেই মতো মসাগ্রামে তারা দাঁড়ায় কিন্তু পিন্টু ও বিশ্বকর্মা খেতে যায় না।পিন্টু তার ভাই বিশ্বকর্মাকে বলে জল আনতে। সে জল আনতে গেলে তার সাথে অপরিচিত একজন লোক যায়। কিন্তু হঠাৎ সে ছুটতে শুরু করলে বিশ্বকর্মাও তার পিছু ধাওয়া করে। গাড়িতে এসে পৌঁছালে সে দেখে তার দাদা গাড়িতে নেই। সেই অচেনা লোকগুলি গাড়িতে রয়েছে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে তারা মারধর করতে থাকে। সে কোনওরকমে ট্রাক থেকে লাফিয়ে পড়ে।চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে দেখে ট্রাকটি কলকাতার দিকে চলে গেছে। অনেক খোঁজা খুঁজির পর সামনের ড্রেন থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় পিন্টুকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। তদন্তে নামে জামালপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আকাশ কুমার মুন্সি। ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট দুজনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। তদন্তের পর ২০১৮ সালের ১৯ জুন বিহার থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ। এই কেসটির তদন্তকারি অফিসার ছিলেন সিরাজুল হক। এস ডি পি ও আমিনুল ইসলাম বলেন জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিদিন তদন্তের নজর ও তৎপরতা এবং জামালপুর থানার তৎকালীন দুজন অফিসার ইন চার্জ এবং এখন যিনি দায়িত্বে আছেন অরুণ কুমার সোম ও তদন্তকারী অফিসার সিরাজুল হক সকলের প্রচেষ্টাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।