Scrooling

প্রয়াত টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা, দুর্গা পুজোর আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়া # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী # হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

মন ভালো নেই, চোখে জল কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের


 

মন ভালো নেই, চোখে জল কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের


অতনু ঘোষ ও সত্যনারায়ন শিকদার, জাহান্নগর : প্রত্যেক বছর এ সময়টা এলাকা একেবারে গমগম করে উঠতে শুরু করে। আর এ বছর? গোটা এলাকা জুড়ে ভয়ঙ্কর এক শূন্যতা।ফুটিফাটা চেহারার দুর্গা কাঠামোটা রাস্তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে। মাটির প্রলেপ যে বহু দিন আগে পড়েছিল, দেখলেই বোঝা যায়। আচমকা যেন থমকে গিয়েছে আঙুলের স্পর্শ। সিংহের মুখ থেকে বেরিয়ে আছে শুকনো খড়। অসুরের অবস্থাও তথৈবচ। এমন ছবি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভান্ডারটিকুরি কুমোরটুলিতে। লকডাউন এর কারণে বর্তমানে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, ফলে মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তা থেকে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী দের। এখানকার মৃৎশিল্পী বিশ্বজিৎ পাল - এর কথায় জানা গেল যে প্রতি বছর এই সময় সমস্ত প্রতিমার বায়না হয়ে যায় কিন্তু এবছর এখনো পর্যন্ত প্রতিমা বায়নার কোন আগ্রহ পুজো উদ্যোক্তাদের নেই এবং প্রতিমা তৈরিতে যে কাঁচামাল লাগে যেমন খড়, বাঁশ, দড়ি এবং প্রতিমা সাজের কাঁচামাল সব কিছুর দাম গত বছরের আগের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে অন্যবারের তুলনায় এবছর প্রতিমার দাম একটু বেশি হওয়ায় প্রতিমা বিক্রি কমেছে। অপরদিকে লকডাউনের কারণে কোন রকম ভাবে পুজো সারার জন্য পুজো উদ্যোক্তারা অন্যবারের তুলনায় এ বছর আরও কম দামে প্রতিমা নিতে চাইছেন। শিল্পীদের সৃষ্টিতেই কুমারটুলির পরিচিতি। সেই শিল্পীদেরই এখন হাত খালি। পকেট খালি। রোজগার বন্ধ । ব্যবসা কার্যত লাটে উঠেছে । তাই স্বাভাবিকভাবেই মন ভাল নেই ওঁদের। করোনা আতঙ্ক আর লকডাউন। রোজগার বন্ধ হওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। কীভাবে চালাবেন নিজেদের পেট ? পরিবারের সংসারও চলবে কী করে? এই প্রশ্ন মনের মধ্যে সারাক্ষণ ঘোরাফেরা করলেও উত্তর আজও অজানা মৃৎশিল্পীদের।