চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

ভাতা নয় চাকরি চাই এই দাবীতে কলকাতার রাজপথে যুবশ্রী'দের বিক্ষোভ


 

ভাতা নয় চাকরি চাই এই দাবীতে কলকাতার রাজপথে যুবশ্রী'দের বিক্ষোভ


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতি"র সদস্যরা চাকরির দাবিতে সোচ্চার হলো কলকাতার রাজপথে। বৃহস্পতিবার সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ী কর্মসংস্থানের দাবিতে কলকাতা শ্রমদপ্তর অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দুই শতাধিক যুবক-যুবতী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে সকাল ১১ টা থেকে তারা জমায়েত হন তারপর মিছিল করে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট শ্রমদপ্তর অফিসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মূলত "ভাতা নয় চাকরি চাই" এই দাবীতে সরব হয় যুবশ্রী'রা। এদিন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এর কাছে স্মারকলিপি দেয়।



    পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতি'র রাজ্য সভাপতি নির্মল মাঝি ও যুগ্ম-সম্পাদক নিতাই বসাক জানান, মুখ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালে ৩রা অক্টোবর কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যুবশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। প্রথমে এক লক্ষ যুবশ্রী'কে ১৫০০ টাকা উৎসাহ ভাতা প্রদান সহ তিনি সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই প্রকল্প থেকে প্রতিবছর সরকারি বিভিন্ন স্থায়ী চাকরিতে (গ্রুপ সি/ গ্রুপ ডি) নিয়োগ করা হবে। কিন্তু আজ প্রায় সাত বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এই প্রকল্প থেকে প্রায় কারোরই কর্মসংস্থান হয়নি। উপরন্তু বিভিন্ন কারণে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবশ্রী'দের ভাতা টাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।




তারা আরও জানান, বর্তমানে করোনা অতিমারির ফলে যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সেখানে বেকার যুব সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। এমনিতেই দীর্ঘদিন বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল, তার ওপর এই লকডাউন এর ফলে ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে যদি বিশেষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আগামীতে যুব সম্প্রদায় ধ্বংসের পথে অগ্রসর হবে।




আন্দোলনের প্রেক্ষিতে যুবশ্রী সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণয় সাহা বলেন তাদের মূল দাবিগুলো হলো, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুবশ্রী থেকে স্থায়ী কর্মসংস্থান। যতদিন না চাকরি দেওয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বাজারমূল্য অনুযায়ী ভাতা প্রদান করতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র এনেক্সার থ্রি বাতিল করতে হবে। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভূক্ত সকল বেকারদের ভাতা প্রদান এবং অনৈতিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে যুবশ্রী'দের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 



তাদের দাবি পূরণ না হলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেই কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন, অবস্থান কিংবা অনশনের পথে অগ্রসর হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।