কৃষকদের স্বার্থ আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস
রাধামাধব মণ্ডল, আউসগ্রাম
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম জঙ্গলমহলের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকহাজার কৃষক বুধবার সকাল থেকেই স্থানীয় মোড়বাঁধ লাগোয়া কৃষিক্ষেত্রে কাজ কর্ম বন্ধ রেখে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী একাধিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে।
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় আউশগ্রাম ২ ব্লক কৃষক সেলের সভাপতি দেবদাস সরকার।
যদিও কৃষক আন্দোলনের এই সমাবেশে দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রের কৃষক ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সুর তুলে বক্তব্য রাখেন রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর সেখ।
তিনি কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে, কাজ বন্ধ করা কৃষকদের নিয়ে কৃষিক্ষেত্রে পদযাত্রাও করেন। এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা অর্ঘ্য বিশ্বাসও।
রামনগরের পুবার, দীননাথপুর, গোপালপুর পাণ্ডুক, ধনকোড়া, খটনগর, মালিয়াড়া, ছোড়াকলোনির থেকে কৃষকরা তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে এসে জড়ো হয় মোড়বাঁধ লাগোয়া কৃষিক্ষেত্রে।
রামনগরের অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর সেখ বলেন,"আমাদের দাবি, সমস্ত শ্রেণির কৃষককে বীমার আওতায় আনতে হবে। তাদের ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদি পড়ে থাকা ঋণ মুকুব করতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে বাংলার কৃষকদের স্বার্থে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো আমরা।"
কৃষক সেলের সভাপতি দেবদাস সরকার বলেন,"কেন্দ্রের সরকার প্রতি চাষের আগে কীটনাশক ও সারের দাম বৃদ্ধি করছে। ভর্তুকি তুলে দিচ্ছে। এসব চলবে না। প্রয়োজনে কৃষকদের দীর্ঘ মেয়াদি পড়ে থাকা লোন বিনা শর্তে মুকুব করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে কৃষকের আন্দোলন আরও তীব্র হবে। তার আঁচ দেশের সরকার ও তার দলের গায়েও লাগবে।"
এলাকার কৃষকরা তাদের এই আন্দোলনে সত্যিই খুঁশি। তারা চাইছিল এমন আন্দোলন করলে, আমরা রাজ্য সরকারের পাশে আছি।
দীননাথপুর গ্রামের কৃষক নীলু নন্দীর দাবি, সরকার এই মুহূর্তে সাধারণ মধ্যবৃত্তদের কথা ভাবছে। এবার কৃষকদের জন্য কিছু করতে চাইছে। এমন হলে আমরা সকলে সরকারের এই কাজকে সমর্থন করবো।
পাণ্ডুক গ্রামের কৃষক গৌতম মন্ডল বলেন, আমাদের রাজ্য সরকার কৃষকদের কথা ভাবছে। আমরা সরকারের কর্মসূচিতে আছি।