চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পিতৃ তর্পণ দিয়ে শুরু হলো মহালয়ার সকাল



পিতৃ তর্পণ দিয়ে শুরু হলো মহালয়ার সকাল


অতনু ঘোষ ও সত্যনারায়ন শিকদার, দাঁইহাট : আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের শেষ। মহালয়া মানেই দুর্গা পুজোর দিন গোনা শুরু দেবীপক্ষের সূচনা। দীর্ঘকাল ধরে কোটি কোটি মানুষ মহালয়ার পুণ্যপ্রভাতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে জল অঞ্জলি দিয়ে স্মরণ করে চলেছেন তাঁদের বিদেহী পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে। আজ ভোর থেকে তাই গঙ্গার ঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জলদান করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তাঁদের পরের প্রজন্ম। 

যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও এখন ঘাটে নেমে বুক গলা জলে দাঁড়িয়ে তর্পণ করেন। স্মরণ করেন সেই সব আপন জনদের। যাঁরা একসময় খুব কাছের ছিলেন।
আজ তাঁরা পরলোকে। ঘাটে ঘাটে তর্পণের চেনা ভিড়। অন্ধকার থাকতেই শুরু হয়ে যায় তর্পণ, তাই প্রতি বারের মতোই পরিষ্কার করা হয়েছে ঘাটগুলি। এদিন ভোরে আপমর বাঙালির ঘুম ভাঙ্গে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ শুনে এবং এরপরেই তর্পণের পালা। 



সেই রীতি অনুযায়ী আজ পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট পৌরসভা এলাকার গঙ্গার ঘাটে চলছে তর্পণ। করোনা আবহের মধ্যে দাঁইহাট এলাকার পুণ্যার্থীরা ছাড়াও বহু দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ তর্পণ করার জন্যে ছুটে আসে দাঁইহাট গঙ্গার ঘাটে। এদিন তিল, জল দান করে থাকেন বংশধরেরা। তর্পণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের।
এই অনুষ্ঠান যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যে পুলিশ প্রশাসনের তরফে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।