Scrooling

হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার আগামী ২৫ আগস্ট বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমন্বয় বাড়াতে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক


 

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমন্বয় বাড়াতে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক 


ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমন্বয় বাড়াতে বুধবার উচ্চপর্যায়ের এক প্রশাসনিক সভা অনুষ্ঠিত হলো বর্ধমানে। উপস্থিত বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার, দুই জেলার জেলাশাসক, পুলিশের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। উল্লেখ্য গত ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভাগ হয়ে গেছে বর্ধমান জেলা। নতুন জেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জন্ম নেয় দুটি নতুন জেলা। ভৌগলিকভাবে কৃষি অঞ্চল অর্থাৎ পানাগড়ের আগে পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে দুর্গাপুর রাণীগঞ্জ আসানসোল সহ বির্স্তীর্ণ শিল্পাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। ২৭৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহভাগ অর্থাৎ ২১৫ টি পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে দুটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অর্থাৎ দুর্গাপুর ও আসানসোল নগর নিগম পশ্চিম বর্ধমানে। আবার অন্ডাল বিমানবন্দরও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। প্রশাসনিকভাবে কাঁকসাসহ কিছু অঞ্চল পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের অধীনে হলেও এই এলাকাগুলি আবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের অধীনে। বেশ কিছু দপ্তর আবার এ জেলায় বা ও জেলায় রয়ে গেছে। তাদের দুটো জেলার কাজই দেখতে হয়।কিছুকিছু বিভাগ আবার অবস্থানের দিক থেকে দু জেলার মধ্যে পড়ে গেছে। এছাড়া কিছু রেল ওভারব্রীজ রয়েছে। রয়েছে রেল ও স্থলভাগের সেতু। রয়েছে বিরাট এলাকাজুড়ে দু নম্বর জাতীয় সড়ক। তাই দুই জেলার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে বর্ধমান ডিভিশনাল কমিশনার গোলাম আলি আনসারী'র পৌরহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় বর্ধমানের সার্কিট হাউসে।


 উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। এছাড়াও ছিলেন দু'জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকরা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমিসংস্কার দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক, ডিপিআরডিও, ডিপিএলও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ঠিক হয়েছে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই জেলার সমন্বয় আরো বাড়ানো হবে। যেখানে যাদের যা সমস্যা আছে সব কিছু আলোচনা এদিন হয়।এরপর সমস্যা নিরসনে দু'জেলার আধিকারিকরা এক সঙ্গে বসবেন। জেলা ভাগ হলেও কিছু বিভাগের কাজে এখনো মানুষকে বর্ধমানে আসতে হয়। এটা খুবই অসুবিধার। কীভাবে এর সমাধান করা যায় সেটা ভাবা হবে। কাঁকসা সহ লাগোয়া এলাকাতে কী করণীয় তা দেখা হবে। মোদ্দাকথায় দু'জেলায় কাজের মধ্যে সমন্বয় এনে কাজের গতি বাড়ানো হবে। সাধারণ মানুষ যাতে আরো উন্নত পরিষেবা দ্রুত পান তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে।