Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

দুর্গাপুরে কেন্দ্রের কৃষক বিল পুড়িয়ে এস ইউ সি আই (সি)-র প্রতিবাদ সভা


 

দুর্গাপুরে কেন্দ্রের কৃষক বিল পুড়িয়ে এস ইউ সি আই (সি)-র প্রতিবাদ সভা


ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : কেন্দ্রীয় সরকারের সদ্য পাশ করানো কৃষি বিল নিয়ে দেশ জুড়ে সোচ্চার বিরোধীরা। মিছিল, মিটিং সহ নানা আন্দোলনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানায় এস ইউ সি আই (সি) এর দুর্গাপুর শাখা। পার্লামেন্টে গৃহীত কৃষক স্বার্থবিরোধী কালা বিল পুড়িয়ে প্রতিবাদ তারা প্রতিবাদ জানায়। এদিনের এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন এস ইউ সি আই (সি)-র জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ ব্যানার্জি ও সুচেতা কুন্ডু। কালা কৃষক বিলে অগ্নি সংযোগ করেন প্রবীন এসইউসিআই নেতা প্রফুল্ল পাল।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, করণা অতিমারি পরিস্থিতিকে অজুহাত করে স্বল্প মেয়াদী বাদল অধিবেশনে কোন রকমের বিতর্কের সুযোগ না দিয়ে শ্রমিক ও কৃষক স্বার্থবিরোধী একটার পর একটা জনবিরোধী বিল অগণতান্ত্রিকভাবে পাস করিয়ে নিল বিজেপি সরকার। কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনী বিল, ফারমার্স প্রডিউস ট্রেড এন্ড কমার্স বিল, ফারমার্স এগ্রিমেন্ট অফ প্রাইস অ্যাসিওরেন্স এন্ড ফেয়ার সার্ভিসেস বিল পাশ করিয়েছে বিজেপির সরকার। এর কিছুদিন আগেই অর্ডিন্যান্স জারি করে সমস্ত প্রকার খাদ্য শস্য, ডাল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ ,আলু কে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। যার ফলে সামগ্রিকভাবে কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও তার বন্টন পুরোপুরি দেশী ও বিদেশী কর্পোরেট হাঙরদের হাতে চলে যাবে।এরই ফলশ্রুতিতে আলু পেঁয়াজ সহ সমস্ত সবজির দাম আকাশছোঁয়া। রাজ্য সরকার টাস্কফোর্স তৈরি তিন বার মিটিং ও বাজার পরিদর্শন করলেও কোনো দাম নিয়ন্ত্রিত হয় নি। সব থেকে বড় কথা, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে ২কোটি ১০ লক্ষ চাকুরীজীবী কাজ হারিয়েছে। ৭৭ কোটি বেকার। এর উপর রেল সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রেল, কয়লা, ইস্পাত শিল্প, তৈল ক্ষেত্র, ব্যাঙ্ক-বীমা, বিদ্যুৎ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ লাভজনক সংস্থাগুলিকে বিলগ্নীকরণ অর্থাৎ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বেসরকারিকরণ করছে। ইতিমধ্যেই ৬ টি বিমানবন্দর আদানিদের দিয়েছে। ১০৯ টি রুটে ১৫১ ট্রেনকে বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৫ টি রুটে দূরপাল্লার ট্রেন আছে। তাই আগামীদিনে এসবের বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলনে সামিল হবে এস ইউ সি আই সি।