চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সেপ্টেম্বর মাসেও লকডাউন জারি, সামগ্রিক ব্যবস্থা জানুন


 

সেপ্টেম্বর মাসেও লকডাউন জারি, সামগ্রিক ব্যবস্থা জানুন


ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো রকম ঢিলেমি দিতে নারাজ। তার উল্লেখযোগ্য প্রমান সেপ্টেম্বর মাসে লকডাউন জারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব এখনও উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি। বরং সামান্য ঢিলেমি বা অসতর্কতায় বড় বিপদ হতে পারে। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তাই কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হল। আগে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। সোমবারই শেষ হয়েছে সেই লকডাউনের মেয়াদ। তার আগেই লকডাউনের মেয়াদ নতুন করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর সোমবারই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি, সহ সমস্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কোচিং সেন্টার ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খোলা যাবে না। যে কোনও ধরনের জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সুইমিং পুল, এন্টারটেইনমেন্ট পার্ক ও থিয়েটার। তবে কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মুক্ত মঞ্চে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের পর অনুষ্ঠান হতে পারে। মেট্রো রেল ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল সেপ্টেম্বর মাসে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ থাকছে। তবে হটস্পট শহর থেকে সপ্তাহে ৩দিন বিমান চললে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়া আগের ঘোষণা মত রাজ্যে সেপ্টেম্বর মাসে আপাতত তিন দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে।

ইতিমধ্যেই আনলক ৪ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেখানে সামাজিক, বিনোদন মূলক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। ১০০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। 

তবে যে সব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থা। ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারি ব্যবস্থা, কোর্ট, সংশোধনাগার ব্যবস্থা, দমকল বিভাগ এবং জরুরি পরিষেবা। এছাড়া বিদ্যুৎ, জল, কৃষি কাজ, চা বাগানের কাজ, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল, ই-কমার্স, আরবিআই সংক্রান্ত কাজকর্ম। এছাড়াও সংবাদ পত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারি চালু থাকবে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছেন, জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের এলাকা চিহ্নিত করবেন জেলা শাসকরা। তবে সব ক্ষেত্রেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গে মাস্ক পরতে হবে এবং কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।