চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

উচ্চমাধ্যমিকে ৯৮.৬০% নম্বর পেয়েও উচ্চশিক্ষার দুশ্চিন্তায় মেধাবী ছাত্রী

 

উচ্চমাধ্যমিকে ৯৮.৬০% নম্বর পেয়েও উচ্চশিক্ষার দুশ্চিন্তায় মেধাবী ছাত্রী


  কিশোর মাকড় : জীবনযুদ্ধে রীতিমত লড়াই করে পাপড়ি উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৩ নম্বর পেয়ে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে। পাপড়ি হাজরা এবছর মন্তেশ্বর ব্লকের বসন্তপুর এস এস শিক্ষা নিকেতন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে তার এই অসামান্য রেজাল্ট বাবা মাকে খুশি করার সঙ্গে গবির্ত করেছে। খুশি এবং গর্বে আপ্লুত বসন্তপুর এস এস শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা মালম্বা এলাকাকে গবির্ত করেছে পাপড়ি। মেয়েবেলা থেকেই বাবা মায়ের বেঁচে থাকার লড়াই দেখেছে চোখের সামনে। বিশেষ করে মায়ের জীবন যন্ত্রণার কাহিনী শুনে পাপড়ির ‌মনোবল বেড়ে গিয়েছিল অনেকটা। আসলে পাপড়ির মা বিন্দুদেবী শৈশবেই মাকে হারিয়ে ছিলেন। পাপড়ির দাদু আবার বিয়ে করেন। চলে সত মায়ের অত্যাচার। যৌথ সংসারে জ্যাঠা বিন্দু দেবীর বিয়ে দেন। 

পাপড়ির বাবা সুশান্ত হাজরা গ্রামের মুদিখানা দোকানে কাজ করে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে পাপিয়া আর এক মেয়েকে পড়াচ্ছেন মনের জোরে। নিজেরা শিক্ষার আলো ছুঁতে না পাওয়ার যন্ত্রণা মেয়েদের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে চেয়েছেন। একবেলা না খেয়েও পড়াশোনার ত্রুটি রাখেননি। জেদ চাপে পাপড়িরও। মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। বাবাকে রিলিফ দিতে কলা বিভাগে ভর্তি হয়। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৩ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়। যদিও এবার মেধা তালিকা প্রকাশ করে নি সংসদ। তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলা -৯৩, ইংরেজি -৯৪, ভূগোল -৯৯, সংস্কৃত -৯৯, এডুকেশন -৯৯, দশর্ণ --৯৭। ৯৮.৬০% নম্বর পেয়ে এখন স্বপ্ন দেখছে শিক্ষিকা হওয়ার। নিজে টিউশনি না পাওয়ার যন্ত্রণা গরীব ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে ভুলতে চায়। সেই স্বপ্নও হয়তো সফল হবে না যদি না কোনো সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে না আসেন। কেন না বাবার অন্নসংস্থান করতে এখনই কাজে ঢুকতে চাইছে। তাহলে কি উচ্চ শিক্ষার পাপড়িও ঝরে পড়বে পাপড়ির ? 

যোগাযোগ +91 90027 83922