Scrooling

হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার আগামী ২৫ আগস্ট বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

Ganapati Ganesh সকল দেব-দেবীর পুজোর আগে কেন সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয় ?

 আর কে হাউসের গণেশ মূর্তি।                 ছবি : সত্যজিৎ দত্ত


   Ganapati Ganesh   


সকল দেব-দেবীর পুজোর আগে কেন সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয় ?


Jagannath Bhoumick, 
Sangbad Prabhati, 22 August 2020

🔵 জগন্নাথ ভৌমিক

একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম।
বিঘ্ন-নাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম।।

হে একদন্ত বিশিষ্ট, বিশাল শরীর, স্ফীতোদর, গজমস্তকসম্পন্ন, সর্বপ্রকার বাধাবিঘ্ন বিনাশকারী দেবতা, তোমাকে আমরা ভক্তি ভরে প্রণাম করি।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিন শ্রেষ্ঠ দেবতা এক সঙ্গে সকল জনগণের অধিপতিরূপে গণেশ কে 'গণপতি গণেশ' নামে অভিহিত করেন। তাঁরা তাঁকে দেবতাদের সর্বাধ্যক্ষ বলেও ঘোষণা করেন। পিতা দেবাদিদেব মহাদেবও পুত্রের গণেশকে নানা বরং দান করেন। আর এই সব ঘটনায় মা পার্বতী অত্যন্ত সুপ্রসন্ন হন। তিনি গণেশকে জানালেন, তোমার জন্মলগ্ন হল ভাদ্র মাসের শুক্লা পক্ষের চতুর্থী তিথি। তোমার জন্মতিথি উপলক্ষে যারা ব্রত পালন করবে তাদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হবে। তারপর থেকেই ভাদ্র মাসের চতুর্থী তিথি গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত।

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্ম নিয়ে পুরাণে নানা কাহিনী আছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, পার্বতীর সঙ্গে শ্মশানবাসী শিবের বিয়ে হয়। তারপর শিব দীর্ঘদিন কৈলাশে তপস্যামগ্ন থাকেন। অন্যদিকে দেবী পার্বতীও তপস্যা করছেন। পরে পার্বতী দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করেন প্রভু আপনার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান কামনা করি। দেবাদিদেব পার্বতীকে বললেন, তুমি সকলের আধার এবং বীজ অর্থাৎ কারণস্বরূপা। জগদম্বে, তোমার সমস্ত অভীষ্টই আমি পূরণ করব। তবে শুনে রাখ, জননী নিজের কর্মফল আর ধর্মাচরণে পুত্রসন্তান লাভ করলে তার সব থেকে গৌরবজনক হয়। দেবাদিদেবের কথায় উৎসাহিত হয়ে তাঁর নির্দেশ মতো পার্বতী এক বছর কঠোর ভাবে 'পুণ্যকব্রত' পালন করলেন। অবশেষে শ্রীবিষ্ণুর কৃপায় দেবী পার্বতীর কোলে অনিন্দ্য সুন্দর এক পুত্র সন্তান এলো। দেবাদিদেব পার্বতীর পুত্রকে দর্শন করে আশীর্বাদ করে গেলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শনি মহারাজের দৃষ্টিতে শিশুটির মস্তক ছিন্ন হল। এরপর ভগবান বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা দুটি শ্বেত দন্ত সহ ঐরাবতের মাথাটি কেটে যোগবলে শিশুটির মাথায় গজমুন্ড স্থাপন করে ব্রহ্মজ্ঞান প্রভাবে ভগবান ব্রহ্মধ্বনি উচ্চারণ করে পার্বতী পুত্র গণেশকে বাঁচিয়ে তুললেন। ভগবান বিষ্ণু দেবপুত্রকে আশীর্বাদ করে নিজ ভূষণ কৌস্তুভ মণি দান করলেন। ব্রহ্মা নিজের মুকুট দান করলেন। রত্নভূষণ দান করলেন ধর্ম। তারপর ক্রমে সকল দেব-দেবীগন এগিয়ে এসে শিশু গণেশকে যথোচিত রত্ন দান করেন। বিষ্ণু সর্বোত্তম উপহার দ্বারা গণেশকে পুজো করে বললেন, 'হে বৎস, তুমি যোগীন্দ্র এবং দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হবে। আমি সবার আগে তোমার পুজো করলাম যাতে তুমি সকলের পূজ্য হও। এমনকি তিনি গণেশকে বনমালা ও ব্রহ্মজ্ঞান প্রদান করলেন। ভগবান বিষ্ণু নবজাতক পুত্রকে মোক্ষদায়ক ব্রহ্মজ্ঞান এবং সম্পূর্ণ সিদ্ধিদান করে নিজের সমকক্ষ করে তাঁকে অষ্টনামে ভূষিত করলেন -- বিঘ্নেশ, গণেশ, হেরম্ব, গজানন, লম্বোদর, একদন্ত, শূর্পকর্ণ এবং বিনায়ক। এভাবেই গণপতি গজানন দেবতাদের মধ্যে সর্বাগ্রে পূজিত হন।