Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কালনায় খোকনের তৈরি তেরঙা মাস্কের চমক


স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কালনায় খোকনের তৈরি
 তেরঙা মাস্কের চমক

সেখ সামসুদ্দিন : ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে করোনা আবহে তেরঙ্গা মাস্কের চমক। আর এই চমকের নেপথ্যে রয়েছেন কালনার যুবক খোকন। নিজের পরিবারের জীবন-জীবিকার পথেই এমন ভাবনা। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন কর্মতীর্থ। পূর্ব বর্ধমানের কর্মতীর্থটি রয়েছে কালনার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক কথাটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন সকলেই। বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে যেমন প্রচুর মানুষ কাজে যান, তেমনই অন্য রাজ্য থেকেও বাংলায় এসে ভিড় জমিয়ে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হন অনেকে‌। তবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কর্মতীর্থ বদলে দিয়েছে কালনার খোকন শেখের জীবন। 
আবার এটাও বলা ভালো, করোনা পরিস্থিতিতে চলা লকডাউনে বিকল্প কাজের সন্ধানে থাকা অনেকেই অনুসরণ করতে পারেন খোকনের অদম্য মনোভাবকে। কালনার ডাঙাপাড়ার যুবক খোকন শেখ কয়েক বছর আগে মুম্বাই গিয়েছিলেন কাজের সন্ধানে। সেখানে লেডিজ টেলারিংয়ের কাজ শেখেন। বছর চারেক আগে কালনায় ফিরে কর্মতীর্থে একটি দোকানঘর পান। বিগত পাঁচ মাসে লেডিজ টেলারিংয়ের অবস্থা শোচনীয় জায়গায় পৌঁছেছে। তবে তাতে দমে থাকেননি খোকন। অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে তাই মাস্ক বানাতে শুরু করেন বিকল্প ব্যবসা হিসেবে।


স্বাধীনতা দিবসের আগে খোকনের দোকানঘরে গিয়ে দেখা গেল স্ত্রী সাহিনূর বিবিকে নিয়ে তিনি তেরঙা মাস্ক বানাচ্ছেন। ইলাস্টিক দেওয়া কাপড়ের মাস্কগুলি নজরকাড়া, মূল্য ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছোট সাইজের মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। অগ্রিম অর্ডার দিলে ছাড়ের বন্দোবস্তও রয়েছে। 
খোকন আর তাঁর স্ত্রীর কথায়, মমতাদিদি কর্মতীর্থে দোকানের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লকডাউনেও সংসার চালাতে পারছি। কাজের সন্ধানে যেতে হচ্ছে না ভিনরাজ্যে।