Scrooling

হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার আগামী ২৫ আগস্ট বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর প্রয়াণে ৭ দিনের রাষ্টীয় শোক, আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ও আধাসরকারি অফিসে ছুটি


 

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর প্রয়াণে ৭ দিনের রাষ্টীয় শোক, আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ও আধাসরকারি অফিসে ছুটি


জগন্নাথ ভৌমিক


বীরভূমের মিরাটিগ্রাম থেকে দিল্লির রাইসিনা হিলস এক দীর্ঘ পথপরিক্রমার ইতিহাসে ছেদ পড়লো সোমবার। প্রয়াত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তাঁর জীবনাবসানে গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া‌। প্রণববাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর মৃত্যুতে সাতদিনের রাষ্টীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রণবাবুর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল মঙ্গলবার রাজ্যের সরকারি ও আধাসরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছেন।



উল্লেখ্য গত ১০ আগস্ট তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ছিলেন ভেন্টিলেশনে। আজ সোমবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন। প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন ভারতের ত্রয়োদশ তম রাষ্ট্রপতি।



 বীরভূম জেলার লাভপুর থানার কিন্নাহারের মিরাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৪ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। মা ছিলেন রাজলক্ষ্মী দেবী। শৈশবে গ্রামের স্কুলের পাঠ শেষ করেই কৈশোরে কিন্নাহার শিব চন্দ্র হাই স্কুলে ভর্তি হন। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রথম জীবনে তার মধ্যে বামপন্থী দর্শনের প্রভাব পড়ে‌ তিনি কমিউনিস্ট আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে পড়াশোনা চর্চার অভ্যাস শুরু করেন। জানা যায় এক সময়ে তিনি আগমার্কা কমিউনিস্ট নেতা চিত্ত রায়, অনীলকান্ত রায়, চাঁদ গোপাল রায় দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে তাঁর বাবা বাংলা কংগ্রেসের দিকে পুত্র প্রণব মুখোপাধ্যায় কে ঠেলে দেন। বাংলা কংগ্রেসের হাত ধরেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ। পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধির সান্নিধ্যে বদলে যায় তার রাজনৈতিক জীবনের আঙ্গিক। একটা সময়ে তিনি দিল্লিবাসী হয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি পরপর পাঁচবার রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন‌ তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী পদে ছিলেন। ধৈর্য নিষ্ঠা পরিশ্রম আর আনুগত্য দিয়ে আদায় করেছেন জাতীয় কংগ্রেস দলের সকলের শ্রদ্ধা ভালোবাসা।