চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

তরুনী গৃহবধূ খুনের অভিযোগ আউসগ্রামের কালিকাপুরে, তদন্ত শুরু

 

তরুনী গৃহবধূ খুনের অভিযোগ আউসগ্রামের কালিকাপুরে, তদন্ত শুরু


নিজস্ব সংবাদদাতা, আউশগ্রাম : তরুনী গৃহবধূ খুনের অভিযোগে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। এই পঞ্চায়েত এলাকার হরিশপুর গ্রামের খেতমজুর হারাধন মেটের ছোট মেয়ে ২৬ বছর বয়সী মল্লিকা মেটের বিয়ে হয়েছিল বছর সাতেক আগে পাশবর্তী গ্রাম কালিকাপুর এর ভিম মেটের ছেলে রাজকুমার মেটের সঙ্গে।

 মল্লিকার বাবা হারাধন মেটে ও কাকা রতন মেটের অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই নানা অছিলায় প্রায় প্রতিদিনই তাদের মেয়েকে মারধোর করতো। বর্তমানে মল্লিকার ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে অত্যাচারের প্রত্যক্ষদর্শী মল্লিকার মেয়ে রিমি।

মল্লিকার বাবা হারাধন মেটে ও মা চিন্তা মেটের আরও অভিযোগ, জামাই রাজকুমার ও তার মা মিলে আমাদের মেয়ে মল্লিকাকে গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টাতে মারধোর করে বাঁ হাতটি কেটে দেয়। ঘটনাটি ঘটিয়ে, যন্ত্রণার ঔষুধ বলে চালে দেওয়া কীটনাশক এর ট্যাবলেট মল্লিকাকে খাইয়ে দেয় ওর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে। অবস্থা বেগতিক বুঝলে মল্লিকার বাপের বাড়ি পাশের গ্রাম হরিশপুর গ্রামের রাস্তার উপর অচৈতন্য অবস্থায় মল্লিকাকে রেখে যায় পালিয়ে যায়। 

 এই অবস্থায় গ্রামের লোকেরা মল্লিকার বাড়িতে খবর দিলে, তার কাকা, বাবা মিলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার বর্ধমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মল্লিকা মেটের মৃত্য হয়। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে আউশগ্রাম থানার ছোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মল্লিকার বাবা হারাধন মেটে জামাই ও তার মায়ের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।