চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

মেমারির বাগিলায় ভ্যান চালকের ছেলে সোমেশ্বর মাধ্যমিকে ৯৬.৭১% নম্বর পেয়ে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে



মেমারির বাগিলায় ভ্যান চালকের ছেলে সোমেশ্বর মাধ্যমিকে ৯৬.৭১% নম্বর পেয়ে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে

সেখ সামসুদ্দিন : ভ্যান রিক্সা চালকের ছেলে সোমেশ্বর দাস মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৭৭ নম্বর পেয়ে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে। মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের শশীনাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোমেশ্বর রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান পায়নি ঠিকই, কিন্তু তার কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে ষোড়শ স্থানে রয়েছে সোমেশ্বর। শতাংশের হিসেবে কৃতি এই ছাত্র পেয়েছে ৯৬.৭১% নম্বর। 



ভ‍্যান রিক্সা চালক বিন্দু দাস ও গৃহবধূ প্রতিমা দাসের পুত্র সোমেশ্বর অত্যন্ত কষ্টের সংসারে পড়াশোনা করেছে। দুঃস্থ এই মেধাবী ছাত্রটির শিক্ষা যাতে অর্থনৈতিক কারনে থেমে না যায় তার জন্য এগিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। ফলে অভাবী পরিবারটি আশায় বুক বেঁধে ছেলেকে বিজ্ঞানী করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখছেন। শুক্রবার মেমারির প্রয়াস স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মেমারি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষক সত‍্যনারায়ণ পাত্র সোমেশ্বরকে শুভেচ্ছা জানান। প্রয়াসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিমোর সুকান্ত ঘোষ তাঁর স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর কিছু দুঃস্থ ছাত্রকে সাহায্য করে থাকেন। এবছর প্রয়াসের কাছ থেকে এই কৃতি ছাত্রের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠান এবং প্রয়াসের পক্ষ থেকে সোমেশ্বরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দু বছরের পাঠ্য বই থেকে শুরু করে স্কুলের ভর্তি ফি সবটাই সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। 



শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘোষণা করেন সোমেশ্বরের পড়াশোনা চালাতে সর্বতোভাবে পাশে থাকবেন তারা। মেমারি বিদ‍্যাসাগর স্মৃতি বিদ‍্যামন্দির শাখা ২ এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সত‍্যনারায়ণ পাত্র ব‍্যক্তিগত ভাবে ২ হাজার টাকা হাতে দিয়ে তিনিও বলেন স্কুলে ভর্তি থেকে বই খাতা, টিউশন সমস্ত বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। এদিন শুভেচ্ছা পর্বে উপস্থিত ছিলেন শশীনাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিত চ‍্যাটার্জী, শিক্ষিকা ও পঞ্চায়েত সদস‍্য ছবি ব‍্যানার্জী, শিক্ষক সংগঠনের মেয়াদি ব্লক সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শিক্ষক পীযূষ বোস, সৌমিত্র চ‍্যাটার্জী, সোমনাথ দাস, তাপস মহালী, সত‍্যনারায়ণ পাত্র এবং প্রয়াস সংস্থার সভাপতি মানস কুমার রায়, সংস্থার সদস‍্য ছাত্রবৃন্দ। 

সোমেশ্বর-কে নিয়ে বাগিলা অঞ্চলের মানুষজন উচ্ছসিত। আজ এই কৃতি ছেলে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করছে। মেধাতালিকায় স্থান না পেলেও এই মুহূর্তে সোমেশ্বর গ্রামের অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের কাছে রীতিমত রোল মডেল। মেমারির অরিত্র সালের পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে এখন সোমেশ্বরের নামও আলোচিত হচ্ছে।