বিদ্যাসাগরের ১৩০ তম প্রয়াণ দিবসে যুবশ্রী সংগঠনের শ্রদ্ধা
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ মহান মানবতাবাদী পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর ১৩০ তম প্রয়াণ দিবসে পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতি'র পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ১ ব্লকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবশ্রী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি নির্মল মাঝি, রাজ্য যুগ্ম-সম্পাদক নিতাই বসাক, কোষাধ্যক্ষ ও অফিস সম্পাদক প্রণয় সাহা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তিনি প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পান্ডিত্যের জন্য তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। বিধবা বিবাহ, স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণ করা হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে।
যুবশ্রী সংগঠনের কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে সারাদেশ গভীর সংকটের আবর্তে নিমজ্জিত। একদিকে চরম অর্থনৈতিক মন্দা, কোটি কোটি বেকার, জ্বরা মৃত্যু মহামারী অতিমারীর গভীরতম দুঃসময়ে যখন সমাজ ও অর্থনীতির নিজস্ব নিয়মকে অনুধাবন করা, যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক মানসিকতার চর্চা অনুশীলনের প্রয়োজন, তখন যুক্তিহীন মানসিকতা, অন্ধবিশ্বাস, ধর্মের নামে চরম ভন্ডামী, সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিদিন পরিকল্পিতভাবে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মানুষের প্রতি মহামানব বিদ্যাসাগরের গভীর উদার ও অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা আমরা বেদনার সাথে স্মরণ করছে যুবশ্রী সংগঠন। রাজ্যের বেকার যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের দাবিতে যে যুবশ্রী আন্দোলন গড়ে উঠেছে সেখানে আপোষহীন ভাবে লড়াই করবার সাহস যোগানে এই মহামানব কে স্মরণ করা হচ্ছে।