চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কুরবানি উপলক্ষে আউসগ্রামের ব্যবসায়ীর আড়াইহাজার মানুষকে খাদ্য ও পোষাক-পরিচ্ছদ প্রদান



কুরবানি উপলক্ষে আউসগ্রামের ব্যবসায়ীর আড়াইহাজার মানুষকে খাদ্য ও পোষাক-পরিচ্ছদ প্রদান



নিজস্ব সংবাদদাতা : কুরবানির আগে আউশগ্রাম জঙ্গলমহলের প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে খাদ্য-সামগ্রী ও পোষাক-পরিচ্ছদ দিয়ে খুশির ঈদ পালনে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় ব্যবসায়ি সেখ আব্দুল লালন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভার, আউশগ্রাম দুই ব্লক ছাড়াও, বীরভূমের বোলপুর, ইলামবাজার এলাকার বেশ কয়েকশো নিরন্ন মানুষকে  বুধবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ধরে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। শুধুতাই নয় দেহজীবী, নিরন্ন, শালপাতাজীবী থেকে শুরু করে আউশগ্রামের ভিক্ষাজীবী, কাঁথাস্টিচ শিল্পীদেরও বুধবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন তিনি।


আউশগ্রামের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার গরিব, শ্রমজীবী এলাকার কয়েকশো গরিব হিন্দু পরিবারের হাতেও তিনি খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন বলে জানান অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ এবাদত। তিনি আরও বলেন, "সেখ আব্দুল লালনের এই কর্মযোগ্য এবছরই প্রথম নয়। তিনি বিগত বছর গুলোতেও এই ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।"


দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী বলেন,"আমি একজন হিন্দুর ছেলে হয়েও তার দান নিয়ে এসেছি। তিনি বিপদে, আপদে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান। "




এবিষয়ে আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"তাকে আমরা সব সময় ডাকলে সরকারি কাজে পাই। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। নিরন্ন মানুষের পাশে তাকে দেখা যায়।"

যদিও এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, সেখ আব্দুল লালন বলেন,"আমি আমার রোজকারের একটা অংশ প্রতিদিনই মানুষকে দান করি। এটাই আমাকে আগামীর প্রেরণা দেয়। করিম ছাড়া আমার নিজের বলে কিছু থাকবে না একদিন। তাই মানুষের মধ্যেই আমার অস্তিত্বকে রেখে যেতে চাই।"



স্থানীয়সুত্রে খবর তিনি এই করোনাকালে, লকডাউনের সময়ে গোটা জেলা এবং জেলার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী, পোষাক পরিচ্ছদ তুলে দিয়েছেন। এবং এখনও নিয়মিত দিয়ে চলেছেন।