নিজের স্ত্রী, শিশু কন্যা ও শ্যালিকাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ, ধৃত অপরাধী
ডেস্ক রিপোর্ট : নিজের স্ত্রী, শিশু কন্যা ও শ্যালিকাকে এলোপাথাড়ি কাস্তের কোপ মেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়লো অপরাধী। পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ গ্রামের ষাড়পাড়া এলাকার ঘটনা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় জনমানসে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে আচমকাই হাঁড়িপাড়া নিবাসী পরান বাউড়ি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার শালির বাড়ি ভট্টাচার্য্য পাড়ায় যযায়। গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী ও এক বছরের কন্যা সন্তান সেখানেই রয়েছে। পরান অতর্কিতে বাড়িতে ঢুকেই কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে। ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান পরানের স্ত্রী সুমিত্রা বাউড়ি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমিত্রা সহ তাদের এক বছরের শিশু কন্যা রাজলক্ষী এবং শালি মালতি ষাঁড় গুরুতর জখম হন। তাদের তিনজনকেই প্রথমে খন্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসক বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরান বাউড়ির স্ত্রী ও মেয়ের আঘাত গুরুতর। জানাগেছে, এদিন বিকেলে সুমিত্রা মেয়েকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই পরান বাউড়ি বাড়িতে এসে সুমিত্রার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল। এরপরই হাতের কাছে একটা বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে । পরে বাঁশ ফেলে দিয়ে কাস্তে দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে।
পরানের শ্যালিকা মালতি দেবী জানিয়েছেন, জামাই প্রায়ই সুমিত্রার সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করতো। কাজকর্ম সেরকম কিছু করতো না। সম্প্রতি পরান নেশা করে গ্রামের ঠাকুর স্থানে গিয়ে ত্রিশূল, ঘট ইত্যাদি ভাঙচুর করেছিল । আর আজ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে গেলেও, এক বছরের শিশুটি ও তার মা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে পরান বাউড়ির কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবে ঘটনার খবর পেয়ে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরান বাউড়ি কে গ্রেফতার করেছে।
গত কয়েক দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কয়েকটি ঘটনায় জেলা পুলিশ রীতিমত উদ্বিগ্ন। বৃহস্পতিবারই মেমারি থানার মন্ডলগ্রামে নেশার জিনিস না পেয়ে মাকে খুন করলো ছেলে। আজ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নিজের স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে কুপিয়ে জখম। এছাড়া শহর বর্ধমানের তেজগঞ্জে অশীতিপর বৃদ্ধের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। জামালপুরে পরপর দু'তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধারে আলোড়ন। সব মিলিয়ে ঘটনার ভয়াবহতায় সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন।