চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

মাধ্যমিক ২০২০ ফলাফলের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান জেলা শিরোনামে



মাধ্যমিক ২০২০ ফলাফলের নিরিখে 
পূর্ব বর্ধমান জেলা শিরোনামে

 অভিরূপ আচার্য : অবশেষে প্রকাশিত হল মাধ্যমিক  পরীক্ষার ফলাফল। ১৩৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করেছে পর্ষদ। এবছর পাশের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ। পাশের  নিরিখে কলকাতা-কে টেক্কা দিয়ে গ্রাম বাংলার জয়জয়কার। সব জেলার থেকে ভালো রেজাল্ট হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলাও পিছিয়ে নেই। রাজ্যের সেরা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি শহরের অরিত্র পাল। মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের (ইউনিট-১) ছাত্র অরিত্র'র প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই জেলার কাটোয়া কাশিরাম দাস শিক্ষায়তনের ছাত্রর অভীক দাস।  এর পরেই রয়েছে বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুল থেকে এবছর রাজ্যের মেধা তালিকায় তিনজন রয়েছে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের রেজাল্ট প্রতি বছরই ভালো হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিজেদের কৃতিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে এই স্কুলের তিনজন ছাত্র যথাক্রমে পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং দশম স্থান অধিকার করেছে। স্বস্তিক সরকার  পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । তার প্রাপ্ত নাম্বর ৬৮৮। সৃজন সাহা  ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নাম্বর ৬৮৭। দশম স্থান অধিকার করেছে দেবায়ুধ ঘোষ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩।
এছাড়া বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের  ছাত্র শৌভিক সরকার সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
অন্যদিকে কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী উর্জসী মন্ডল ৬৮৪ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার চারজন। দেবায়ূধ ঘোষের নাম আগেই উল্লেখ করেছি। অন্য তিনজন হলো বনপাস শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র সেখ পারভেজ জিথ, সিমলনের ভৈরবনালা এসকেইউএস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা ভট্টাচার্য এবং কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রীপর্ণা খাসপুরি।

এদিকে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী মেঘমা বেজ রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও উল্লেখযোগ্য রেজাল্ট করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।  এছাড়াও এই স্কুলের আরো কয়েকজন ছাত্রী ভালো রেজাল্ট করেছে। বর্ধমান বিদ্যার্থী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অঙ্কিতা রায় ৬৮০ নম্বর পেয়ে বিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে।