চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কালনার চেন কিলার কামরুজ্জামান-কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ



কালনার চেন কিলার কামরুজ্জামান-কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : কালনার চেন কিলারের কথা মনে আছে ? গত এক বছর আগে কালনা মহকুমার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জনমানসে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। অবশ্য পুলিশ অপরাধী কামরুজ্জামান সরকার-কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। শেষপর্যন্ত সেই কেসে চেন কিলার  কামরুজাম্মান সরকার কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমবার এই আদেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ৩০ মে কালনার সিঙ্গেরকোন এলাকার এক নাবালিকা কে ধর্ষণ ও নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগে  কামরুজাম্মানের বিরুদ্ধে মামলা  শুরু হয়।  ২জুন কালনার কাঁকুরিয়া গ্রামে কর্তব্যরত অবস্থায় দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার সন্দেহজনক এক বাইক আরোহীকে আটক করেন। এরপর বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে এবং আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে কামরুজ্জামান সরকারকে গ্রেফতার করে। ৩ জুন অভিযুক্তকে কালনা আদালতে পেশ করে পুলিশ। ছাত্রী খুনের ঘটনার কিনারা করতে পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। ধীরে ধীরে ছাত্রী খুনের কিনারা হয়, পাশাপাশি খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত কামরুজাম্মান। বাড়িতে একাকী মহিলাদের ধর্ষণ ও খুনই ছিল কামারুজ্জামানের মূল উদ্দেশ্য বলে খোদ অভিযুক্ত কালনা পুলিশ কে জানায়। এমনকি তদন্তে উঠে আসে শুধু এই ঘটনাই নয়, হুগলী সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কামরুজ্জামান সরকার একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করেছিল। প্রায় ১৩ মাস মামলা চলার পর গত ৩ জুলাই বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮ / ৩৭৬এ / ৩০২ এবং পকসো আইনের ৬ ধারায় অভিযুক্ত কামরুজাম্মান সরকার কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আজ ৬ জুলাই সেই মামলার চুড়ান্ত সাজা ঘোষণা করা হয়।  জানা গেছে, ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড, ৩৭৬এ ধারায় যাবজ্জীবন, ৪৪৮ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড এবং পকসো আইনের ৬ ধারায় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।  আরও জানা গেছে, এই মামলা চলাকালীন ৩৫ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।  এই রায় শোনার পর খুশি মৃত ছাত্রীর মা।

সোমবার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণার পর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাত্র ১৩ মাসের মধ্যে অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছেন মাননীয় বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কামরুজ্জামান সরকার-এর বিরুদ্ধে মোট ১৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে ৮টি মার্ডার কেস। একটি হুগলি জেলায়। ৮টির মধ্যে ২টি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা রয়েছে। তার মধ্যে সিঙ্গেরকোন এলাকার এক নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬টি খুনের চেষ্টার মামলা চলছে।