চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সাঁওতাল বিদ্রোহ  (পঞ্চম কিস্তি)

                 হাতির সাহায্য সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনের দৃশ্য

সাঁওতাল বিদ্রোহ  (পঞ্চম কিস্তি)


 🔸  শিবানন্দ পাল

 ➡️ ১৭৮৯ থেকে ১৭৯১ তিন বছর বাংলা বিহার উড়িষ্যার বিশাল অঞ্চল জুড়ে পাহাড় জঙ্গলের একটা বড় অংশে ইংরেজ শাসন অচল হয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র সাঁওতাল পাহাড়িয়াদের যুক্ত বিদ্রোহের জন্য। পরবর্তীকালে কোনো সময়ই এরকম যা কোনোদিন শোনা যায় নি।। উইলিয়াম হান্টার এই সময়কে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ বলে বর্ণনা করেছেন। এখান থেকেই পাঠককে ভাবতে অনুরোধ করবো ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ বিষয়টি মাথায় রাখুন।

মাথায় রাখুন সাঁওতাল বিদ্রোহ থেকে শিক্ষিত সমাজের মুখ ফিরিয়ে থাকা। লেখালেখি করছি এতদিন পড়ে ব‌ইপত্র ঘেঁটে। কিন্তু তখন মানুষের কাছে এসংক্রান্ত খবর পৌঁছনোর সম্ভাবনা ছিল না। তাই অজস্র গুজব, লোককাহিনী তৈরি হয়েছে। তার ভিতর থেকে প্রকৃত ইতিহাস বের করে আনা প্রথমদিকে হয়তো সহজ ছিল, এখন তা জটিল এবং কঠিন।

পাহাড়িয়াদের সঙ্গে সাঁওতালদের যৌথ সংগ্রাম ইংরেজ দমন করতে পারেনি। তাঁরা এবার কূট চালে মেতে উঠলো। তিলকা মাঝি জীবন দিয়েছে। পাহাড়ে জঙ্গলে চোরাগোপ্তা আক্রমণ চলছে। ধূর্ত ইংরেজ সাঁওতালদের বসতি স্থাপন ও চাষআবাদের গঠনমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করল। শোষক তখনই তার গণতন্ত্রের চেহারাটা প্রকাশ করে যখন তার সামনে বিকল্প কোনো রাস্তা থাকে না।

চৈতন্য হেমব্রম কুমার মহাশয়ের লেখা অনুসারে “রাজমহল পাহাড়ের দক্ষিণে বীরভূম ও মানভূমে দামোদর নদ পর্যন্ত পাহাড়িয়াদের মতো আদিবাসী সাঁওতালরা বহু বছর পূর্বে এসে বসবাস করেছিল; তারা হিন্দু জমিদার এবং মহাজনদের অত্যাচারে ঘুরতে ঘুরতে রাজমহল পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত এসেছিল। পরে পাহাড়িয়ারা সমতল জমি পছন্দ না করায় সরকার ১৭৯০ খৃষ্টাব্দ থেকে আনন্দের সঙ্গে সাঁওতালদের প্রবেশ করতে দিল। সাঁওতালরা পাহাড়ের আশেপাশে উর্বর ও সমতল জমি পেয়ে মহানন্দে বনজঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে বসতি স্থাপন করতে লাগল।“ (সান্থাল পরগণা, সান্থাল আর পাহারিয়াকোওইয়াঃক ইতিহাস-- চৈতন্য হেব্রাম কুমার, পৃষ্ঠা ৩৫)।

ফলে বিদ্রোহীদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইল। শাসকগোষ্ঠী শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। বিদ্রোহীদের সংগঠন ভেঙ্গে গেল। যারা বেঁচে ছিল, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলো। কিন্তু শোষণের অবসান হয় না। সাম্রাজ্যবাদী শাসক ডাইরির পাতায় ভালো করে দাগ দিয়ে লিখে রাখে এই সমস্ত ঘটনা, ভবিষ্যতে যাতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়। নইলে দেশকে কব্জায় রাখবে কী করে? তারা তো দু-একদিনের জন্য এখানে বেড়াতে আসেনি‌। রাষ্ট্র একটি সংগঠিত শক্তি, বিদ্রোহীদের বিষয়টি জানা ছিল না।

দামিন-ই-কোহ’র পূর্ব দিকে সগরডাঙ্গায়, পিপড়া, আমগাছিয়ায় সাঁওতালরা প্রথম গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে। ১৮০৯ সালে দুমকা, ১৮১৮ সালে গোডডা মহকুমায় সাঁওতালদের বসবাস বিস্তৃত হয়। দেখা যাচ্ছে সাঁওতালদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে এই সময়েই স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও মহাজনদের দৃষ্টি পরে পাহাড়ি এলাকায় সাঁওতালদের গ্রামগুলোতে।

১৮৩৬-এ সরকার সাঁওতালদের বসবাসে উৎসাহ দেবার জন্য একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে, তিনিই হলেন বিখ্যাত মিঃ পনেট বা মিঃ পন্টেট। ১৮৩৭-এ মিঃ পনেট সেই আধিকারিক। সরকারের উৎসাহ কর্মসূচির প্রথম বক্তব্য ছিল, অপরিষ্কার জমির জন্য প্রথম তিন বছর তাদের কোনো খাজনা দিতে হবে না। পরের তিন বছর নামমাত্র খাজনা ধার্য হবে। তা ছিল গ্রাম প্রতি ৩ থেকে ১০ টাকা। এরপর পরের পাঁচ বছর তাদের জমি লিজ দেওয়া হবে। মাঝিদের নিজস্ব পঞ্চায়েত গ্রামের বার্ষিক খাজনা স্থির করে দেবে।

ইতিমধ্যে দামিন-ই-কোহ’র এলাকা নির্ধারণ হয়ে গেছে। দায়িত্বে ছিলেন জন পেটি ওয়ার্ড। ১৮৩২-৩৩ সালে তিনি সারভেয়ার ক্যাপ্টেন ট্যানারকে নিয়ে দামিন-ই-কোহ’র সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত করেছেন। ভাগলপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে বীরভূমের ১৩৬৬.০১ বর্গমাইল জায়গা পিলার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫০০ বর্গমাইল শুধু সমতল, বাকী সবটাই পাহাড় অঞ্চল। আবার সমতল ৫০০ বর্গমাইলের মধ্যে আছে জঙ্গল এলাকা। মাত্র ২৫৪ বর্গমাইল ছিল আবাদযোগ্য চাষের জমি।

দামিন-ই-কোহ’র সীমানা নির্ধারণ হয়ে যাবার পর রাজমহলের পশ্চিমদিকের জঙ্গল পরিষ্কার করে বসবাস করার জন্যে তৎকালীন বড়লাট বেনটিঙ্ক সাঁওতালদের নতুন করে আহ্বান জানালেন। বন্ধুদের বলেছিলাম 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' বিষয়টি মাথায় রাখতে। একটা বিশাল এলাকা দামিন-ই-কোহ, সীমানা চিহ্নিত হয়ে গেছে। সেখানে নতুন নতুন জমিদার, পত্তনিদার, মহাজন বসাচ্ছে কোম্পানির শাসন। মোগল আমলের জমিদার অনেকেই শুকিয়ে গিয়েছেন। তৈরি হচ্ছে 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' সমৃদ্ধ কোম্পানির আশীর্বাদ পুষ্ট নতুন নতুন জমিদার। আবার জঙ্গল পরিষ্কার করে নতুন জায়গা তৈরি করার জন্য ডাক পড়লো সাঁওতালদের।
সাঁওতালরা আবার সেই আগের মতো আসতে শুরু করল দলে দলে। তারা এলো কটক, ধলভূম,মানভুম, বরাভুম, ছোটনাগপুর, পালামৌ, হাজারীবাগ, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বীরভূম থেকে। তারা নিজেরাও ইতিহাস ভুলেছে। তিলকা মাঝির ইতিহাস ওদের যদি জানা থাকতো অথবা মনে থাকতো তাহলে নিশ্চিত প্রশ্ন তুলতো। ইতিহাসকে যুগে যুগে শাসক এজন্যই গুলিয়ে দেয়, ঘুলিয়ে দেয়। অতীত আমাদের শেকড়, শেকড় ছিন্ন হলে মহীরুহর পতন ঘটে, এটা প্রকৃতির শিক্ষা। তাই ভালো ফল পেতে শিকড়ের পরিচর্যা করতে হয়। শোষক কিন্তু শেকড় দুর্বল করতে চায়, এটা তার চরিত্র।

চৈতন্য হেমব্রম কুমারের লেখায় জানা যায়, সাঁওতালরা ভেবেছিল এই এলাকায় তারা তাদের স্বপ্নের জন্মভূমি চাম্পার মতো স্বাধীনভাবে থাকতে পারবে। তাই তাদের ধন-সম্পদ ও জিনিসপত্র সব গুছিয়ে নিয়ে এসেছিল। এখানে তারা তাদের নিয়ম মতো মাঝি, পারাণিক এবং পারগানা, দেশমাঝি সম্পর্কগুলো বজায় রাখল। ১৮৫১-র মধ্যে দামিন-ই-কোহ’তে ৮২৭৯৫ জন অধিবাসী সমেত ১৪৩৭ টি গ্রাম গড়ে উঠল। পাহাড়ি অঞ্চলের প্রধান শহর হয়ে উঠলো বারহারোয়া রেল স্টেশনের ১৩ মাইল উত্তরপশ্চিমে বারহেট। বারহেটের বাজার থেকে সাঁওতাল পরগণায় উৎপাদিত প্রচুর পরিমাণে ধান, সরিষা ও বিভিন্ন প্রকারের তৈল বীজ গরুর গাড়ি বোঝাই করে ভাগীরথী তীরবর্তী জঙ্গিপুর যায়। সেখান থেকে নদীপথে যায় মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায়। সরিষা সে সময় ইংল্যান্ডে রপ্তানি হতো। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সাঁওতালরা যে শস্য উৎপন্ন করে তার বিনিময়ে পায় সামান্য অর্থ, নুন, তামাক অথবা কাপড়। দুমকা মহকুমার কাথিকুন্দ ছিল ব্যবসায়ী মহাজনদের ডেরা। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা সরিষা, ধান ইত্যাদি চালান দিত সিউরিতে। (দি সান্থাল ইন্সারেক্সান অফ ১৮৫৫-৫৭---কে কে দত্ত, পৃষ্ঠা ৪-৫ )।

বারহেট ছিল দামিন-ই-কোহ’র মধ্যে সব থেকে বড় বাজার। বড় বড় দোকান ছিল। মুদির দোকান, মনোহারী দোকান, দস্তা পেতলের বাসনপত্রের দোকান, গয়নার দোকান, সবই ছিল বাইরের লোকদের। পাকুড়ের ১৪ মাইল পশ্চিমে হিরনপুর ছিল আর একটি বড় বাজার। হিরনপুরের হাট আজও বিখ্যাত। এখানে গৃহপালিত পশু গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়াও পাওয়া যেত এক সময়। বর্ধমানের সেহারাবাজার, শ্যামসুন্দর, কৈচর, দাঁইহাট, পাচুন্দি, বেলডাঙ্গা, সাঁইথিয়া, ধুলিয়ান, হিরনপুর বড় বড় হাট যেখানে পশু ও পণ্যসামগ্রীর আদানপ্রদান ও চলাচল ছিল।

বারহেট অঞ্চলে কৃষিজাত পণ্যের দাম কিভাবে বেড়েছিল তার একটি পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। ১৭৩৮ সালে এক টাকায় পাওয়া যেত ২ মন ৩৯ সের চাল, অথবা ২ মন ২০ সের আটা, অথবা ১২ সের সরষের তেল। ১৭৫০ সালে তা কমে হয়, ২ মন ১০ সের চাল, অথবা ২ মন ১০ সের আটা, অথবা ১০ সের সরষের তেল। ১৭৫৮ সালে সেই পরিমাণ আরও কমে হয় এক টাকায় ১ মন ৩০ সের চাল, অথবা ১ মন ৩৫ সের আটা, অথবা সাড়ে আট সের সরষের তেল। ১৭৮২ সালে আরও কমে হয়- ১ মন ৫ সের চাল, অথবা ১ মন ৫ সের আটা, অথবা ৭ সের সরষের তেল। ১৮২৫ সালে এক টাকায় পাওয়া যেত ৩০ সের চাল, অথবা ৩৫ সের আটা, অথবা ৬ সের সরষের তেল। ১৮৫৪ সালে হয়- এক টাকায় ১৫ সের চাল, অথবা ১৯ সের আটা, অথবা ৫ সের সরষের তেল। (সাঁওতাল গণ-সংগ্রামের ইতিহাস-ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে, পার্ল পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮০, পৃষ্ঠা ৩২)।

জমির চেহারা পাল্টে যেতেই মহাজন ও ব্যবসায়ীরা সাঁওতাল গ্রামগুলিতে এসে ডেরা বেঁধেছিল। এমনকি এসেছিল শুঁড়ি সম্প্রদায়ের লোকেরা। তারা এসে মদের দোকান খুলেছিল। সাঁওতালরা এমনিতে নিজেরা ঘরে তৈরি পচাই খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু আরও কড়া দেশি মদ পেয়ে অল্প দিনেই মজে গেল। তারা ফসল, টাকা নিয়ে দোকানে যায় আর মদ খেয়ে সব খোয়ায়। আর কারসটেইয়ারস একজন ইংরেজ আধিকারিক তাঁর হারমা’স ভিলেজ গ্রন্থের ১৭২ পাতায় লিখেছেন, “The Hor had always been great beer drinkers, but the new thing was the spirt shop, always woned by a “Dikku’ or plainsman, who sold strong drink for money or grain, or on credit. The ‘kalal’ at Amrapara good easy man, would give strong stuff, and wait as long as they liked for payment.” (সাঁওতাল গণ-সংগ্রামের ইতিহাস-ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে, পার্ল পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮০, পৃষ্ঠা ৩১)।

দামিন-ই-কোহ থেকে কাঠ চালান শুরু হয়। কাঠ ব্যবসায়ীরাও আসে বাইরে থেকে। জঙ্গল কমতে থাকে আর অরণ্যের অধিকার হারায় অরণ্যের সন্তানরা। আশেপাশের জমিদাররা এই সুযোগে তাদের জমিদারীর সীমানা বাড়িয়ে নিতে শুধু থাকবার জায়গা দেওয়া হবে টএই বলে বিনা পারিশ্রমিকে জঙ্গল পরিষ্কার করাতে কাজে লাগায় সাঁওতালদের। অথচ সাঁওতালরা কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে ন্যায্য বিচার পায় না। কারণ পুলিশ, প্রশাসন, পেয়াদা,
বরকন্দাজ, আদালতের ক্লার্ক, মুহুরি এমনকি জজ ম্যাজিস্ট্রেট সবাই জমিদারের কাছের লোক। আর কোনো অভিযোগ করতে হলে, ছুটতে হবে ভাগলপুর।

ফ্রেডরিক হ্যালিডে ছিলেন সেই সময় বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর। সাঁওতালদের বাসভূমিকে তিনি সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণের ঘাঁটি গড়তে চেয়েছিলেন। সাঁওতালদের জন্য থানা, পুলিশ, আইন
আদালত স্থাপিত হয়েছে। ফৌজদারি বিষয়ে যেতে হবে ভাগলপুর, আর দেওয়ানি বিষয়ে যেতে হবে জঙ্গিপুর-এ।

দেশের জন্য আইন, কিন্তু সে আইন মানুষ মারার ফাঁদ। আইনের এই রহস্য সাঁওতালদের বোধগম্য হয় না। আর কারসটেইয়ারস তাঁর হারমা’স ভিলেজ গ্রন্থের ১৭২ পাতায় লিখেছেন, ‘Trouble everywhere-in the north-east looting and outrage by the workmen of the great road ; in the north-east thieving by the Paharias-but above all-greater than all, spreading its dark shadow over the whole Nation of the Hor, loomed the oppression of the usurer and the Daroga. Though heavier in the East than the West it was heavy and growing heavier everywhere.”
(সাঁওতাল গণ-সংগ্রামের ইতিহাস-ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে, পার্ল পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮০, পৃষ্ঠা ২৯)।

কোম্পানি সরকার জেমস পনেট’কে সুপারিন্টেনডেন্ট নিযুক্ত করেছিল দামিন-ই-কোহ’র। খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য পনেট দামিন-ই-কোহ’কে কয়েকটি পরগণায় বিভক্ত করেন। দামিন-ই-কোহ থেকে ১৮৩৭/৩৮ সালে খাজনা আদায় হতো বাৎসরিক ৬৬৮২ টাকা। ১৮৫৪/৫৫ সালে আদায় হয় ৫৮,০৩৩ টাকা। মাত্র ১৮ বছরে বৃদ্ধি প্রায় ১০ গুণ। (Judicial Pros. No. 157, 14.03.1856.)।

এ যাবৎ সর্বকালের সেরা দার্শনিক কার্লমার্কস। কেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ? ভারতবর্ষে ইংরেজ বণিকদের শোষণ বর্ণনা করে ১৮৫৩ সালে ‘নিউ ইয়র্ক ট্রিবিউন’ পত্রিকায় তাঁর ‘দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ শিরোনামা প্রবন্ধে লিখেছেন, “বাণিজ্যের সমস্ত চরিত্রই পাল্টে গেছে। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতবর্ষ ছিল রপ্তানিকারক দেশ, আর এখন ভারতবর্ষ আমদানিকারী দেশে পরিণত হয়েছে।“
(সাঁওতাল গণ-সংগ্রামের ইতিহাস-ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে, পার্ল পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮০, পৃষ্ঠা ২৬)।

যে ব‌ইগুলি নিয়ে কাজ করছি।
১। সাঁওতাল বিদ্রোহের রোজনামচা- তারাপদ রায়, দে’জ পাবলিশিং, কোলকাতা, ২০০৬।
২। সান্থাল পরগণা, সান্থাল আর পাহারিয়াকোওইয়াঃক ইতিহাস-- চৈতন্য হেব্রাম কুমার। ৩। দি এনালস অফ রুরাল বেঙ্গল- ডবলু ডবলু হান্টার। ৪। সানথাল পরগণা ডিসট্রিক্ট গেজেটিয়ার- এল এস এস ও’মালী। ৫। গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ- স্বপন বসু, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, ১৯৮৪। ৬। দি সান্থাল ইন্সারেক্সান অফ ১৮৫৫-৫৭---কে কে দত্ত। ৭। সাঁওতাল গণ-সংগ্রামের ইতিহাস-ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে, পার্ল পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮০। ৮।
গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ- স্বপন বসু, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, ১৯৮৪।
ছবি : গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ- স্বপন বসু, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, ১৯৮৪। সৌজন্যে।


                                            পরবর্তী কিস্তি আগামী মঙ্গলবার