চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

চীনা পণ্য সামগ্রী বর্জন আদৌ কি সম্ভব হবে ?


চীনা পণ্য সামগ্রী বর্জন আদৌ কি সম্ভব হবে ?

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইন্দো-চীন সংঘাত ইস্যুটি নতুন নয়। বহু আগে থেকেই রয়েছে। বর্তমান সময়ে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু সেই সমস্যার আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশের জনগণ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল সহ অনেকেই চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল। শহীদ জওয়ানদের স্মরণে মোমবাতি মিছিলের পাশাপাশি চীনা জিনিস বয়কটের ডাক উঠেছে। চীন বিরোধী জাতীয়তাবাদী স্লোগানে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও চীনের সামগ্রী পোড়ানো হচ্ছে। আবার কোথাও চীনের প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল দাহ করা হচ্ছে। আসলে রাজনীতির ময়দান গরম করে তুলতেই যত আন্দোলন। তা না হলে গত কয়েকদিনের বাজার সমীক্ষা বলছে চীনা জিনিস পত্রের বিক্রি খুব একটা কমেনি।

                      ছবি : সংগৃহিত

 জাতীয়স্তরের বণিক সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স ঠিক করেছে চীনা জিনিস বিক্রির বিরোধীতা করবে। ইতিমধ্যেই তারাএকটি তালিকাও তৈরি করেছে। আর তাতেই সংগঠকদের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ তিন হাজারের বেশি চীনা জিনিস বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আর এই মুহূর্তে চীনা জিনিস বিক্রি বন্ধ হলে সব থেকে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে ছোট খুচরো ব্যবসায়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে এই ক্ষতির পরিমাণ ১৭ লক্ষ বিলিয়ন ডলার। ফলে এক ধাক্কায় যে অর্থনৈতিক ক্ষত সৃষ্টি হবে। সেই গায়ে আগে মলম লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য দেশ হিসেবে ভারতেরও কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তাছাড়া দেশের শিল্প বাণিজ্যের উপযুক্ত পরিকাঠামোর উন্নয়ন না করে কিছু করতে গেলে দেশের মানুষ এমনিতেই মরে যাবে। ভারতে ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর বাজারে একটা বড় অংশ দখল করে রয়েছে চীন। স্বাভাবিক ভাবেই অনুমেয় পরিস্থিতি কোন জায়গায় অবস্থান করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছেন। খুব ভালো কথা। প্রশ্ন অনেক প্রথমেই বলি দেশ আত্মনির্ভর হবে নাকি জনগন। এই প্রশ্নের সমাধান হলেই 'ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে'।