করোনা উৎসাহ ভাতা না পেয়ে আসানসোল ও দুর্গাপুরে
পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলনে
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা 'করোনা উৎসাহ ভাতা' না পেয়ে আন্দোলনে সামিল। শুক্রবার আসানসোল ও দুর্গাপুর পৌরনিগমের পৌর স্বাস্থ্য কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিন আসানসোলে সি এম ও এইচ দপ্তরের সামনে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। এখানে কাজল ব্যানার্জি, অপর্না যাদব, গৌরি চ্যাটার্জিরা নেতৃত্বে ছিলেন।
অন্যদিকে দুর্গাপুর পৌর নিগমের পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্গাপুর পৌরনিগমের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়। নেতৃত্বে ছিলেন কেকা পাল, গার্গী দাস, সীমা লাহিড়ী সহ অন্যান্যরা।
পৌর স্বাস্থ্য কর্মীদের নেতৃত্বের কথায় দীর্ঘ লকডাউন পরিস্থিতিতে এই প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংক্রমণের মধ্যেও অক্লান্ত ভাবে বাড়ি বাড়ি সচেতনতার কাজ করে চলেছে, রিপোর্ট তৈরি করেছেন, থার্মাল স্পেলিং করেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যেও সচেতনতার কাজ করে চলেছেন। এই কাজের বিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী এপ্রিল মে জুন মাসের জন্য করোনা উৎসাহ ভাতা চালু করলেও তা এখনো পর্যন্ত আসানসোল, দুর্গাপুর পৌরনিগমের ৬০৫ জন অনারারি হেলথ ওয়ার্কার পেলেন না। এর সাথে গত ৩০ শে জুন এন এইচ এম এর মিশন ডাইরেক্টর এই হেলথ ওয়ার্কারদের জন্য কাজের ভিত্তিতে ইন্সেন্টিভ দেওয়ার নির্দেশ নামা প্রকাশ করেছেন। এই নির্দেশ নামা অনুযায়ী সমস্ত অনারারি হেলথ ওয়ার্কাররা যাতে ইন্সেন্টিভ পায় সেই সংক্রান্ত পদক্ষেপ কার্যকরী করার জন্য আজ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে দুই পৌরনিগমের ওয়ার্কাররা।
সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভানেত্রী অধ্যাপিকা সুচেতা কুন্ডু জানান, দুঃখের বিষয় হল এই দুই পৌর নিগমে কর্মরত সুপারভাইজারদের ভাতা এবং ইনসেনটিভ দেওয়া হয় নি। পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে সমস্ত পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এর আওতাধীন করার দাবি জানাচ্ছি ।