চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

করোনা যুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধাদের পাশাপাশি পর্দার আড়ালের কারিগরদেরও কুর্ণিশ

করোনা যুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধাদের সঙ্গে পর্দার আড়ালের কারিগরদেরও কুর্ণিশ 

 ✳ কিশোর মাকড়

 ➡ লকডাউন।  একটি শব্দে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধেই লকডাউন। করোনা যুদ্ধে লড়ছে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ অনেকেই। এরা সবাই ফ্রন্ট লাইনার। তার বাইরের যোদ্ধাদের কথা না বললে তাঁদের দায়বদ্ধতা ছোটো করা হয়। এরা সকলেই সিনেমার পদার্র আড়ালে শিল্পী। এরা মানে চাঁদু, সানি, তাপস, কৌশিক সহ আরো অনেকে। প্রত্যেকেই বর্ধমানের। হাসপাতালের এ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার। সারা বছর যাদের পেট চলে পেসেন্ট পার্টির  পয়সায়। সেই পেসেন্ট পার্টি লকডাউন ঘোষণা হতেই পড়লো অকুল পাথারে। ফুটের হোটেল, দোকান সব বন্ধ। কালবিলম্ব  না করে স্হানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা ইউনিয়নের নেতা সুশান্ত প্রামাণিক উদ্যোগ নিলেন কমিউনিটি কিচেন চালানোর। সাথে পেলেন এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারদের। যে কিচেন বন্ধ হলো ৩০ মে। প্রায় ৬০দিনের কাছাকাছি সকাল, সন্ধ্যা দুবেলা পাত পড়েছে প্রায় ১৪০০-১৫০০ অসহায় মানুষের। পেসেন্ট পার্টি কাটোয়ার সনাতন বাগ জানালেন ওনারা না থাকলে উপোষ করে মরতাম। সম্পূর্ণ  স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 
  বর্ধমান পুরসভার পুরপতি পারিষদের প্রাক্তন সদস্য  সুশান্ত প্রামাণিক জানালেন লকডাউনের প্রথম দিনে দুপুরেই  দেখলাম পেসেন্ট পার্টি  শুকনো মুড়ি খাচ্ছেন মা, ভাই, সহ পাঁচজনে।  সেদিনই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে পরের দিন থেকেই শুরু হলো কমিউনিটি কিচেন।  এই কাজে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে  এগিয়ে আসেন ডাক্তার, এ্যাম্বুল্যান্স মালিক এবং সাধারণ মানুষ।  এই কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এলাকার মানুষ। কাউন্সিলর আরো জানালেন হাসপাতালকে ঘিরে যে হোটেল, দোকান করে পেট চালাচ্ছেন যারা তাঁদের কথা ভেবে কমিউনিটি কিচেন তুলে নিলাম। আমার ইউনিয়ন সব সময় প্রস্তুত।  যে কোন বিপদে ডাক পড়লেই পাশে আছে আমার সৈনিকরা। কুর্ণিশ  করোনা যোদ্ধাদের  পাশাপাশি। পর্দার পিছনের সারির কারিগরদের।