চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

গভীর রাতে মেমারি স্টেশনে ৭০ বছরের দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার, এলাকাবাসীর ক্ষোভ রেল পুলিশের বিরুদ্ধে


গভীর রাতে মেমারি স্টেশনে  ৭০ বছরের দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার, এলাকাবাসীর ক্ষোভ রেল পুলিশের বিরুদ্ধে

নূর আহমেদ, মেমারি : লকডাউনের রাতে এক নির্মম পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে মেমারি স্টেশনে। ৭০ বছরের এক দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা ধর্ষিতা হয়েছেন। রেল পুলিশ বিষয়টি জেনেও কোনো অভিযোগ লিপিবদ্ধ না করায় স্থানীয় জনমানসে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার ১৪ দিন পর বিষয়টি জানাজানি হতেই হৈচৈ পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রচেস্টায় রেল পুলিশ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য হয়। আজ বর্ধমান আদালতে ওই বৃদ্ধার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার পর মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। এলাকার মানুষের দাবী খুব শীঘ্রই অপরাধীকে ধরে শাস্তি দেওয়া হোক। তার সাথে নির্যাতিতা মহিলার থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত রেল কতৃপক্ষকেই নিতে হবে।


জানাগেছে, গত ৬ জুন রাত ১টা থেকে দেড়টা নাগাদ  মদ্যপ এক ব্যক্তি ষ্টেশনে থাকা এক দৃষ্টিহীন ৭০ বছরের বৃদ্ধার শরীরের চাদর খুলে দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গলা টিপে ধরে। এমনিতেই মাঝ রাত তার উপর দীর্ঘ ৩ মাসের লকডাউনের ফাঁকা রেলওয়ে ষ্টেশনে কয়েকজন পথবাসী ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। ব্যক্তিটি যেভাবে তার গলা টিপে ধরেছিল চিৎকার করে কাউকে ডাকার ক্ষমতা ছিল না। তার পর তাকে জোর করে টানতে টানতে প্লাটফর্মের শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির অন্যপাশে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করার পর তাকে আবার যেখান থেকে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে রেখে চলে যায়। তখন রাত প্রায় সাড়ে তিনটে হবে। কারণ কিছুক্ষণ পরেই ভোরের আযান শুনতে পান তিনি। ধর্ষক ব্যক্তি যাবার সময় হুমকি দিয়ে বলে যায় কাউকে জানালে তার শাড়ী দিয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে দেবে। অসহায় বৃদ্ধা পরের দিন সকালে আরপিএফ কে জানালে তিনি ষ্টেশনে থাকা অন্য বৃদ্ধদের দেখভাল করার জন্য বলে যান। অথচ  কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর গত ১৭ জুন সেই রাতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এক কংগ্রেস নেতার তৎপরতায় বর্ধমান রেল পুলিশকে জানানাের পর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেমারি ষ্টেশনে এসে উক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ও বৃদ্ধার জবানবন্দী নিয়ে তাকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়া হয়। আজ তাকে ১৬৪ ধারায় বর্ধমান কোর্টে জবানবন্দী নিয়ে মেডিকেল টেষ্টের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে এলাকার মানুষ রেল পুলিশের মেমারি শাখার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন ওদের গাফিলতিতেই এতবড় ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছিল।